Baruipur COVID Situation: বারুইপুরে বাড়ছে সংক্রমণ, বাজার-দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত

Baruipur COVID Situation: তাই করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার রাতে বারুইপুর ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Baruipur COVID Situation: বারুইপুরে বাড়ছে সংক্রমণ, বাজার-দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত
বারুইপুরে দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2022 | 9:50 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বারুইপুর ব্লকের করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪২৪। গত ৩ দিনে বারুইপুর ব্লকে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭০ জন। আর তাই করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার রাতে বারুইপুর ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিডিও বারুইপুর মোসারফ হোসেনের নেতৃত্বে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর থানার আইসি, ১৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ- সভাপতি। এছাড়াও ছিলেন সমস্ত বাজার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিরা। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় করোনা পরিস্থিতি যতদিন না স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শুক্রবার বারুইপুর ব্লকের ১৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত বাজার ও দোকান বন্ধ থাকবে।

অন্যদিকে, ভাঙড় ১ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ভাঙড় ১ ব্লক এলাকায় করোনা আক্রান্ত অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৫৭ জন। গত এক সপ্তাহ আগে সেই সংখ্যাটা সে ছিল ১০ জন। আবার ভাঙড় ২ ব্লকে সংক্রমিত প্রায় ৭৬ জন বাসিন্দা। সব মিলিয়ে দুটি ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মোট সংক্রমণ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে।

এমনিতেই ভাঙড় ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকা কলকাতা ও নিউটাউন লাগোয়া। তাছাড়া বানতলা চর্মনগরী ব্লক এলাকায় গড়ে ওঠার ফলে শহর ও শহরতলি ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ এখানে কাজে আসেন। যে কারণে ব্লক এলাকায় দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভাঙড় ১ ব্লকের বিভিন্ন বাজার, হাট প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, ভাঙড় ২ ব্লকের সাতুলিয়া ও পোলেরহাট বাজার প্রতি সোমবার, শোনপুর, গাবতলা, নতুনহাট বাজার, চিনিপুকুর বাজার প্রতি মঙ্গলবার বন্ধ রাখা হবে। পাশাপাশি পাকাপোল বাজার, বিজয়গঞ্জ বাজার, পীরনগর বাজার ও বেলেদানা বাজার প্রতি বৃহপ্সতিবার বন্ধ থাকার সির্দ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

প্রশাসন সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, যদি এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ যদি দোকান, বাজার খোলা রাখার চেষ্টা করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ভাঙড় ১ ব্লকের বিডিও দীপ্যমান মজুমদার বলেন, “হঠাৎ করে ব্লক এলাকায় করোনা সংক্রমণ বেশ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবং চেন ভাঙার জন্য সপ্তাহে দুই দিন বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুন: রেড রোডে কুচকাওয়াজে ‘বাতিল’ ট্যাবলো, প্রজাতন্ত্র দিবসে অনুষ্ঠানেও কাটছাঁট, ঘোষণা নবান্নের

আরও পড়ুন: ছন্দে ফিরছে শীত, ২৪ ঘণ্টায় আরও বাড়বে ঠান্ডা, তবুও যাচ্ছে না উদ্বেগ…কী বলছে হাওয়া অফিস?