Baruipur: ‘দুয়ারে সরকারের’ ধাঁচে এসআইআর ক্যাম্প, বিএলও যা সাফাই দিলেন…
Baruipur BLO: শিবিরে বিএলওদের 'ম্যান মার্কিং' করছে তৃণমূল। যদিও বিএলও-দের সাফাই, বাড়িতে ভোটারদের না পাওয়ার ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। পাশে থেকে একই যুক্তি দিচ্ছেন বঙ্গের শাসকদলের সদস্যরাও। বিরোধীদের দাবি, অবিলম্বে এই ক্যাম্প কমিশনকে বন্ধ করতে হবে।

বারুইপুর: কমিশন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে, যেখান সেখান থেকে ফর্ম বিলি করা যাবে না। কিন্তু এত কিছুর পরেও কমিশনের কোনও হেলদোল নেই। ‘দুয়ারে সরকারের’ ধাঁচে এসআইআর ক্যাম্প। বারুইপুরের মল্লিকপুর পঞ্চায়েতে এরকমই ছবি ধরা পড়েছে। ক্যাম্প থেকে ফর্ম দিচ্ছেন তাঁরা, যাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম দেওয়ার কথা। শিবিরে বিএলওদের ‘ম্যান মার্কিং’ করছে তৃণমূল। যদিও বিএলও-দের সাফাই, বাড়িতে ভোটারদের না পাওয়ার ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। পাশে থেকে একই যুক্তি দিচ্ছেন বঙ্গের শাসকদলের সদস্যরাও। বিরোধীদের দাবি, অবিলম্বে এই ক্যাম্প কমিশনকে বন্ধ করতে হবে।
বিএলও ত্রিদীব সরকার বলেন, “ভোটারদের বাড়ি গিয়েছি। বাড়ি বাড়ি গিয়েও ভোটারদের আমরা পাইনি। তারপর বিএলএ-রা আমাদের সাহায্য করেছেন। ক্যাম্প করা হয়েছে। এখানে এসেই প্রত্যেক ভোটার এনুমারেশন ফর্ম পাবেন।” তাঁর যুক্তি, “ক্যাম্প করায় যথেষ্ট সুবিধা হচ্ছে, প্রত্যেক ভোটার লাভবান হচ্ছেন।”
প্রায় একই যুক্তি দিয়েছেন তৃণমূলের বিএলএ ২ মিয়াজ খান। তিনি বলেন, “আমাদের এখানে ১০ হাজার ৬০০ মতো ভোটার রয়েছেন। আমরা ৬ হাজার ভোটারের বাড়ি গিয়েছি। লিস্টিং করা হয়েছে। বাকি যে চার হাজার ভোটার রয়েছেন, তাঁদের আমরা বাড়িতে পাইনি। তাঁদেরকেই এখানে ডাকা হয়েছে।”
স্বাভাবিকভাবেই সরব হয়েছে বিজেপি। বারুইপুর পশ্চিমের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “এই ধরনের বিএলও-গুলো শাসকদলের চাকর। চাকরা তো মালিকদের কথায় উঠবে-বসবে। নির্বাচন কমিশন ধৃতরাষ্ট্রের মতো চোখে কাপড় বেঁধে রেখেছেন।”
উল্লেখ্য, যে সমস্ত বুথ লেভেল অফিসাররা বাড়িতে বাড়িতে এসআইআর ফর্ম দেওয়ার বদলে যেখান সেখান থেকে ফর্ম বিলি করছেন, তাঁদেরকে ইতিমধ্যেই শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইলেক্ট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের শোকজ করার নির্দেশ সংশ্লিষ্ট বুথ লেভেল অফিসারদের। ERO-দের ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
