পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে ঝামেলা, বাড়িতে ঢুকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মার ৪ জনকে

Basanti: অভিযোগ, মাটিতে ফেলে তাঁদেরকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ততক্ষণে চিত্কার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরাও হাজির হয়ে যান।

পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে ঝামেলা, বাড়িতে ঢুকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মার ৪ জনকে
আক্রান্ত ব্যক্তি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2021 | 7:45 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুকুরে কেন জাল ফেলা হয়েছে? তা নিয়েই শুরু হয়েছিল কথা কাটাকাটি। আর তা গড়ায় হাতাহাতিতে। চলে লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা। পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন একই পরিবারের চার জন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর চড়াবিদ্যার কুমড়োখালি গ্রামে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। তাঁদের মাথায় ঘাড়ে গুরুতর চোট লেগেছে। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।

ঝামেলার সূত্রপাত বুধবার দুপুরেl কুমড়োখালি গ্রামেরই বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন লস্করের পুকুর পাড়ে মাছ ধরার জন্য জাল পেতেছিলেন মোজাফ্ফর নাইয়া। সেটি দেখতে পান সাহাবুদ্দিন। কেন তাঁর অনুমতি ছাড়াই জাল ফেলে হয়েছিল, তা প্রশ্ন করেন তিনি। জাল নিজেই জল থেকে তুলে পাড়ে রেখে দেন। তা নিয়েই শুরু হয় কথা কাটাকাটি।

তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায় ঘটনা। অভিযোগ, এরপর মোজাফ্ফর নাইয়া-সহ গ্রামের জনা চল্লিশ লোকজন রাতে সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। সে সময়ে ঘরে ছিলেন তাঁর স্ত্রী জাহানারা লস্কর। তাঁর সঙ্গে ঝামেলা হয়। চিত্কার শুনে ছুটে আসেন সাহাবুদ্দিন-ছেলে, বৌমা। লাঠি দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, মাটিতে ফেলে তাঁদেরকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ততক্ষণে চিত্কার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরাও হাজির হয়ে যান। তাঁরাই কোনওক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেন। অন্যান্য প্রতিবেশীরাই গুরুতর জখম অবস্থায় ওই পরিবারের চার সদস্যকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে সেখানেই চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জাহানারা ও সাহাবুদ্দিনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের অবস্থা আশাঙ্কাজনক। ঘটনার বিষয়ে বাসন্তী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সাহাবুদ্দিন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের এক আত্মীয় বলেন, “পুকুরের পাড়ের ধারে মাছ আটকানোর জন্য বাঁধ দিয়েছিল। সেখানেই জাল ফেলেছিলেন আমার কাকা। তা নিয়েই ঝামেলা হয়। দুপুরের ঘটনা ছিল এটা। তখন খুবই ঝগড়া হয়। সে অর্থে মারপিট হয়নি। আমরাই সবাই গিয়ে ঝামেলা থামিয়ে দিই। ভেবেছিলাম মিটমাট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কে বুঝবে এমনটা হবে! রাতে ওঁরা আবার এল। প্রায় একশো লোক। প্রত্যেকের হাতে লাঠি ছিল। আর তা দিয়ে বেধড়ক মারধর।”

আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “রাতে আমরা তখন ঘরেই ছিলাম। সবাই হঠাত্ই প্রচণ্ড চিত্কার চেঁচামেচি শুনতে পাই। ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। ততক্ষণে বাকি লোকেরাও বেরিয়ে গিয়েছে। দেখি প্রচণ্ড ঝামেলা হচ্ছে। লাঠিসোটা নিয়ে মারধর চলছে। ওত্ত ভিড়। সবার মাঝে ওদেরকে বের করে আনাও চাপের ছিল। তাও গ্রামবাসীরা যতটা সম্ভব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।” পুলিশ জানিয়েছেন, একটা গ্রাম্য বিবাদ। এক জন মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বয়ানও শোনা হবে। আরও পড়ুন: চন্দনাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়াতে চাপ দিচ্ছে পুলিশ! অভিযোগ তুলে শুভেন্দুর পাল্টা বাণ