
ভাঙড়: শওকত মোল্লার সভা শেষ হতেই কেঁপে উঠল ভাঙড়। ভোটের পারদ যেন তুঙ্গে সেখানে। প্রতি মুহুর্তে রাজনৈতিক উদ্বেগ। সরগরম এলাকা। বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকায় তৃণমূলের একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ক্য়ানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। ভালয় ভালয় মিটেছে রাজনৈতিক সভা। কিন্তু রাত ঘনাতেই হয়েছে শান্তিভঙ্গ।
পরপর পড়ল বোমা। কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। ক্ষণিক আগেও যেখানে ভাষণ দিয়ে গেলেন শওকত মোল্লা। রাতের দিকে সেই এলাকাতেই, বলা চলে অনুষ্ঠান মঞ্চের অনতিদূরে হল বোমাবাজি। নেপথ্যে কারা? ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে উত্তর কাশিপুর থানার পুলিশ। গোটা এলাকা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্মীরা।
বোমাবাজির নেপথ্যে আইএসএফ-কে জুড়ে দিল ভাঙড়ের তৃণমূল শিবির। এদিন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা বলেন, ‘এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে বৈঠক হচ্ছিল। তারপর বৈঠক শেষে বিধায়ক রওনা দিতেই ওরা বোমা ছুড়েছে। শওকত মোল্লার গাড়ি সম্ভবত তখন সভাস্থল থেকে পঞ্চাশ হাত দূরে ছিল। সেই সময়ই ওরা বোমা মেরে পালিয়ে যায়। কৃষ্ণমাটি শান্তি প্রিয় গ্র্রাম। আইএসএফ নিজের অস্তিত্ব হারাচ্ছে বলে এসব করছে।’
এদিনের বোমাবাজির ঘটনা আসলে শওকত মোল্লার উপর হামলার চক্রান্ত বলেই অভিযোগ তৃণমূল শিবিরের। তাঁদের দাবি, ‘এটা বিধায়কের উপর হামলার চক্রান্ত ছিল। বিধায়ককে মারার পরিকল্পনা করেছে ওরা। বোমাটা কোনও ভাবে গাড়িতে লেগে গেল, ঘটনার জল বহু দূর পর্যন্ত গড়াত।’ অবশ্য় স্বাভাবিক নিয়মেই সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে বল ঠেলে দিয়েছে আইএসএফ। তাঁদের দাবি, ‘ওদের তো বৈঠক ছিল। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই বোমা মেরেছে। ওদের কাজটাই এটা। তৃণমূল করে, আইএসএফ-এর দিকে দায় ঠেলে দেয়।’