‘ভুয়ো’ মামলায় সরকারি কর্মীর কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা ‘হাতালেন’ আইনজীবী! তোলপাড় বালুরঘাট
Fake Case: সরকারি কর্মীর অভিযোগ, তাঁর নামে হাইকোর্টে মামলা রয়েছে, এমনই মিথ্যা নথি দেখিয়ে কয়েক দফায় মোট ৭ লাখ টাকা নেন আইনজীবী গৌতম সরকার।
বালুরঘাট: বেশ কিছু ভুয়ো মামলার নথি দেখিয়ে সরকারি কর্মীর কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় বালুরঘাট বার অ্যাসোসিয়েশন।
বালুরঘাট জেলা আদালতের দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ এনে বালুরঘাট থানা, জেলা পুলিশ সুপার ও বালুরঘাট বার অ্যাসোসিয়েশন ও পপশ্চিমবঙ্গ বার কাউন্সিলের অভিযোগ দায়ের করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের এক সরকারি কর্মী। অমিত কুমার ধর নামে ওই সরকারি কর্মী রবিবার রাতে বালুরঘাট থানা, জেলা পুলিশ সুপার ও বার কাউন্সিলে দুই আইনজীবী গৌতম সরকার ও নির্মাণ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
সরকারি কর্মীর অভিযোগ, তাঁর নামে হাইকোর্টে মামলা রয়েছে, এমনই মিথ্যা নথি দেখিয়ে কয়েক দফায় মোট ৭ লাখ টাকা নেন আইনজীবী গৌতম সরকার। তাঁর সহযোগী ছিলেন অপর আইনজীবী। বেশ কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারেন তাঁকে মিথ্যা মামলার অজুহাত দিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটা বুঝতে পেরেই তিনি ওই টাকা ফেরতের জন্য বারবার ওই আইনজীবীর দ্বারস্থ হন।
কিন্তু টাকা ফেরত দিতে পুরোপুরি অস্বীকার করেন দুই আইনজীবী। এমনই অভিযোগ অমিত কুমার ধরের। এমনকি তাঁর কাছ থেকে কোন টাকায় নেননি বলে জানান ওই আইনজীবী। এরপরই টাকা ফেরত-সহ অভিযুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ওই সরকারি কর্মী। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই দুই আইনজীবী।
জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ওই সরকারি কর্মীর কাছে একটি হাইকোর্টের আইনজীবীর চিঠি গিয়ে পৌঁছয়। সেখানে দেখা যায়, একটি হাইকোর্টের মামলার কেস নম্বর দেওয়া রয়েছে। সেই চিঠি অমিত ধরের পাশাপাশি বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার-সহ একাধিক জায়গায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে অমিত ধরের বাড়ি হালিশহরে। কর্মসূত্রে তিনি থাকেন বালুরঘাটে। তাঁর নামে পারিবারিক দুটি মামলা রয়েছে। সেই মামলা দেখছিলেন আইনজীবী গৌতম সরকার।
সেই সুবাদে অমিত ধরের বহু তথ্য তিনি জানতেন বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীর আরও অভিযোগ, গত মাসের প্রথমের দিকে চিঠি পেয়ে গৌতম সরকার তাঁকে নিয়ে কলকাতা যান। হাইকোর্ট মামলার জন্য একাধিকবারে ৭ লাখ টাকা নেওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে। এদিকে পরে অভিযোগকারী জানতে পারেন তার নামে যে মামলার নথি দেখা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অন্যের মামলা তাঁর নামে দেখানো হয়েছে। এরপরই টাকা ফেরত চান তিনি। কিন্তু টাকা ফেরত পাননি। তাই এনিয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আদালতের বার আস্যোসিয়েশনের সম্পাদক বিদ্যুৎ রায়। অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুলদের জানিয়েছেন, এনিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ হাতে পাননি তিনি। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখবেন। আরও পড়ুন: দেখুন: বরের কাছে হার মানল বন্যা! বউ নিয়ে এলেন রাস্তায় নৌকো ভাসিয়ে