Gosaba Assault Case: বাড়িতে রোজ আসত ১০-১২ টা ছেলে, বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলাকে প্রতিবেশী তুলে নিয়ে গেলেন গোডাউনে, ঘৃণ্য আচরণ…
Gosaba Assault Case: রাতের অন্ধকারে এক মহিলাকে বাড়ির উঠোন থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গোডাউনে আটকে রেখে সারা রাত ধরে মারধর করে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক মহিলাকে রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। রাতের অন্ধকারে এক মহিলাকে বাড়ির উঠোন থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গোডাউনে আটকে রেখে সারা রাত ধরে মারধর করে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রভাস মণ্ডলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায়।
নিগৃহীত মহিলার বয়ান অনুযায়ী, ২৯ নভেম্বর রাত ১০টা নাগাদ পাশের গ্রাম সভার পঞ্চায়েত সদস্য প্রভাস মণ্ডল নিজের ২ জন সঙ্গীকে নিয়ে যান এলাকারই এক বাসিন্দার বাড়িতে। সেখান থেকেই ওই ব্যক্তির বিবাহ বিচ্ছিন্না মেয়েকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। অভিযোগ, তারপর সারা রাত আটকে রেখে নির্যাতন করেন।
ওই রাতে মহিলার বাড়ির লোক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি। পরেরদিন সকালে ওই মহিলা নিজেই অসুস্থ অবস্থায় একা বাড়ি ফিরে আসে। পরে স্থানীয় সুন্দরবন উপকূল থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই মহিলার আনা সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য প্রভাস মণ্ডল। তবে ওই মহিলাকে চড় মারার কথা স্বীকার করেছেন ক্যামেরার সামনে।
নির্যাতিতা মহিলা বলেন, “রাত সাড়ে দশটা নাগাদ প্রভাস , দেবব্রত, গোবিন্দ নামে তিন জন আমার বাড়িতে যান। আমার মাকে ডাকে। মা ঘুমিয়ে ছিল। মাকে আমি ডেকে দিই। তারপর আমাকে ডাকে, মা বারণ করায়, মাকে ঠেলে দেন। এরপর ওরা আমার মুখ বেঁধে মারধর করে প্রভাস মণ্ডলের গোডাউনে নিয়ে যায়।”
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের বক্তব্য, “স্বামী ছেড়ে বাবার বাড়িতে থাকে। ১০-১২টা ছেলে ওর বাড়িতে ঢোকে। একটা ছেলে তিন চার দিন ধরে ওই মেয়ের বাড়িটায় ছিল। সবাই আমাকে আগেও বলেছি। আমরা গিয়ে দেখি মেয়েটা আছে। আমি গিয়ে চড় থাপ্পড় মারি, বলেছিলাম ওই ছেলেকে বিয়ে করে এলাকা ছেড়ে চলে যাও। এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শুনি বিয়ে করে ওরা। পরে শুনি আমাদের বিরুদ্ধেই কেস হয়েছে।”
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলেন, ” মেয়েটা সম্পর্কে আগে থেকেই অনেক কিছু শোনা যাচ্ছিল। গোটা বিষয়টি দেখিনি, তাই এখনই বলতে পারব না। তবে মেয়েটার সম্পর্কে অনেক কিছু শোনা যায়। আমরা মেয়েটাকে সচেতন করতে আগেও শালিসি সভা বসাই। আমাদের পঞ্চায়েত সদস্য ওকে শাসন করার তাগিদে দুটো থাপ্পড় মারেন। এর বেশি কিছু নয়।”