
ভাঙড়: এসআইআর ইস্যুতে ব্যাকফুটে আইএসএফ! বিএলএ বা ব্লক লেভেল এজেন্ট দিতেই পারল না নওশাদের দল। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এসে তাই পিঠ বাঁচাতে নিজেই ফর্ম ফিল-আপ করছেন একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক। সুযোগ বুঝে একযোগে সমালোচনা করল তৃণমূল-বিজেপি। এখানেও কি সিপিএমের উপরেই ভরসা করছে আইএসএফ? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর ইলেকশন কমিশনের পাশাপাশি ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক বিরোধী সব দলই। রাজনৈতিকভাবে নিজেদের দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সচেষ্ট ডান-বাম-রাম। ভাঙড় বিধানসভায় একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে সুর চড়িয়েছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। সাধারণ মানুষকে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
বড় মঞ্চ করে বিএলএ, বুথ সভাপতি ও সদস্যদের এসআইআর-এর কাজ কীভাবে কাজ করতে হবে, সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন শওকত। কিন্তু প্রশ্ন হল, এত কিছুর মধ্যে আইএসএফ কোথায়? বিএলএ দিতেই পারেনি আইএসএফ। বাড়ি বাড়ি বিএলও-দের সঙ্গে যাচ্ছেন বিজেপি, সিপিএম ও তৃণমূলের বিএলএ-রা। কিন্তু কোনও প্রতিনিধি নেই আইএসএফ-র। আসলে আনরেকগনাইজড পার্টি হওয়ায় বিএলএ দেওয়ার এক্তিয়ার নেই নওশাদদের। যদিও ভাঙড়ে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে হাল ধরার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নওশাদ সিদ্দিকী।
ভাঙড় বিধানসভায় মোট বুথ ২৮৬টি। যেখানে ২৮৬টিতেই বিএলএ দিয়েছে তৃণমূল। ১০৫টি বিএলএ সিপিএমের, বিজেপি দিয়েছে ৭৮টি বুথে বিএলএ। এখন প্রশ্ন হল, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে সবথেকে চর্চিত কর্মসূচিতে ব্যাকফুটে থেকে কি সিপিএমের উপর ভরসা করতে হবে আইএসএফ-কে?
নওশাদ সিদ্দিকীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আসলে আমরা রেজিস্টার্ড পার্টি, কিন্তু রেকগনাইজড নই। তাই আমাদের বিএলএ দেওয়া যায় না। তবে আমি মানুষের পাশে আছি। ফর্ম ফিল আপ করতে সাহায্য করছি।”