Child Suicide: মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার গেমে মত্ত সারাদিন! বাবার বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী অষ্টম শ্রেণির ছাত্র
South 24 pargana: বাবা বকতেই বিষয়টি সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেনি ওই নাবালক।
ক্যানিং: দিনের বেশিরভাগ সময় কাটত ভিডিয়ো গেম খেলে। যখনই দেখা যেত চোখ দু’টো পড়ে থাকত ভিডিয়ো গেমের স্ক্রীনে। ফলে ক্ষতি হচ্ছিল পড়াশোনার। কিন্তু বাবা বকতেই বিষয়টি সহজ ভাবে মেনে নিতে পারেনি ওই নাবালক। অভিমানে আত্মঘাতী হল সে।
ঘটনা স্থান ক্যানিং। সেখানেরই একটি গ্রামেই থাকত অষ্টম শ্রেণির ওই নাবালক। জানা গিয়েছে পড়াশোনা না করে বাড়িতে প্রতিদিন মোবাইল নিয়ে বসে থাকত। ফোনের মধ্য়ে ফ্রি-ফায়ার খেলায় মত্ত থাকত সে। সেই কারণেই বকাবকি করে বাচ্চাটির বাবা। বকা খেয়ে অভিমান হয় তার। এরপর নিজের ঘরে ঢুকে গতকাল গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতি হয় সে ।
এক প্রতিবেশী জানিয়েছন, “কেন করছে সঠিক ভাবে বলতে পারব না। তবে ওর মা বলছিল ওর মোবাইলের নেশা ছিল। সেই কারণে বাবা বকেছিল। তারপরই আত্মহত্যা করে।”
আজ সকালে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি দেখতে পায়। বাড়িটির থেকে চিৎকারের আওয়াজ পেয়েই সেখানে আসে এলাকাবাসী। তড়িঘড়ি শিশুটিকে উদ্ধার করে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে তাঁকে। ক্যানিং থানার পুলিশ খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। ঠিক কী কারণে ওই ওই ছাত্র আত্মঘাতী হল সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, এদিকে গতকাল মালদার একটি মর্মান্তিক খবর প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহন্নলার দর কষাকষির জেরে অভুক্ত থেকেই মৃত্যু হল নবজাতকের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে মানিকচকের বাঙালটোলা গ্রামে।
সাধারণত কোনও পরিবারে নতুন শিশুর আগমন ঘটলে সেখানে ভিড় করেন বৃহন্নলারা। নবজাতকের সুস্বাস্থ্য় ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বেশ কিছু অর্থও দাবি করেন তাঁরা। মনে করা হয়, ওঁদের আশীর্বাদেই নবজাতকের ‘শ্রীবৃদ্ধি’। সেই থেকেই চলে, টাকা দেওয়ার রেওয়াজ। বাংলার ঘরে ঘরে প্রায়ই এমন ছবির দেখা মেলে। কিন্তু মানিকচকের এই ঘটনা যেন ভয়াবহ।
জানা গিয়েছে, গত ২৯ অক্টোবর তিন সন্তানের জন্ম দেন মাম্পি মাঝি। দুটি পুত্র ও একটি কন্যা। মাম্পি ও তাঁর স্বামী অসিত দিনমজুরের কাজ করেন। খবর পেয়ে বাড়িতে হাজির হন আওলাদ নামের একজন বৃহন্নলা। বুধবার বিকেলে, আওলাদ ওই দম্পতির থেকে ১২০০ টাকা দাবি করেন। কিন্তু, মাম্পিরা জানান, তাঁরা দিনমজুরের কাজ করেন। এত টাকা দিতে পারবেন না। সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দিতে পারবেন।
কিন্তু তাতে মন ভরেনি আওলাদের। আচমকা মাম্পির কোল থেকেই শিশুকে ছিনিয়ে নেন আওলাদ। কোলের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চেপে ধরে রেখে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এমনকী হুমকিও দেন, টাকা না দিলে ছেলেকেও ফেরত দেবেন না। মাম্পি তাঁর সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য ফেরত চাইলেও তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
এদিকে, প্রায় দুই ঘণ্টা টানা ওভাবে কোলে চেপে ধরে রাখায়, তারউপর আবার খেতে না পেয়ে কোলের মধ্যেই ধীরে ধীরে নেতিয়ে পড়ে শিশু। পরে মাম্পি যখন তাঁর সন্তানকে কোলে ফেরত পান, তখন আর ছোট্ট দেহটায় কোনও সাড় নেই। পুরোপুরি নিঃস্পন্দ!