নওসাদকে ছেড়ে আরাবুলের হাত ধরলেন শয় শয় কর্মী, আইএসএএফ চেয়ারম্যান বললেন, ভোট আরও বাড়বে!
ISF Workers Join TMC: আরুবুলের দাবি, 'নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূল থেকে আইএসএফে যাওয়া কর্মীরা পুনরায় দলে ফিরছে।'
ভাঙড়: আবারও ভাঙড়ে বড়সড় ভাঙন আইএসএফ-এ (ISF)। প্রায় প্রত্যেকদিন আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন কর্মীরা। তুলে নিচ্ছেন ঘাসফুল পতাকা। শনিবার আবারও একই চিত্র দেখা গেল ভাঙড়ের আলাকুলিয়াতে। এদিন আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় ৫০০ কর্মী।
এলাকার দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলামের হাত ধরে এই যোগদান অনুষ্ঠান সংগঠিত হয়। আইএসএফের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে বিজেপি কর্মীরাও। অনুষ্ঠানে আরাবুল ইসলামের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মমিনুল ইসলাম, হাকিমূল ইসলাম, নিজাম শেখরা। আরুবুলের দাবি, ‘নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূল থেকে আইএসএফে যাওয়া কর্মীরা পুনরায় দলে ফিরছে।’
তিনি আরও জানান, তৃণমূল ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যেভাবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে অনান্য দলের কর্মীরা তৃণমূল ফিরছে বলে দাবি তাঁর। বলেন, এঁদের প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়ে আগামিদিনে ভাঙড়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলবেন তাঁরা।
যদিও ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ চেয়ারম্যান নওসাদের ব্যাখ্যা ভিন্ন। তাঁর অভিযোগ, কাউকে ভয় দেখিয়ে কাউকে সরকারি পরিষেবা না দিয়ে দলবদল করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, “যাঁরা গিয়েছেন তার কারণ আছে। প্রথম কথা, অনেকে ফোন করে বলছে, কী করব? কারও বাড়ির (সরকারি আবাস যোজনা) প্রথম কিস্তির টাকা এসে গিয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আর দিচ্ছে না। কারণ তোমরা আইএসএফ করো। বলা হচ্ছে তৃণমূলে যোগ দিলেই টাকা পেয়ে যাবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, এসব সত্ত্বেও যাঁরা দলবদল করতে চাইছেন না, তাঁদের রুজিরুটির উপর হামলা করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সবজি ব্যবসায়ীরা বাজারে বসতে পারছেন না।” যদিও আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরা বিধানসভা ভোটের থেকে বেশি ভোট পাবেন বলে আত্মবিশ্বাসী নওসাদ। আরও পড়ুন: সোমবারই সম্ভবত তৃণমূলে শিখা মিত্র, জোরালো হচ্ছে জল্পনা