‘ঘুম ভেঙে দেখি রক্তমাখা দেহটা…’,মা ও আড়াই বছরের সন্তানকে কুপিয়ে খুন, সম্পর্কে টানাপোড়েন বলে অনুমান

Crime News:স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আনোয়ার হোসেনের দুটি বিয়ে। প্রথমপক্ষের স্ত্রীয়ের একটি বছর দশেকের ছেলেও রয়েছে। দ্বিতীয় পক্ষ ছিলেন মঞ্জুয়ারা বিবি। তাঁরই ছেলে মিজানুর। এই দুই বিয়ে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত।

'ঘুম ভেঙে দেখি রক্তমাখা দেহটা...',মা ও আড়াই বছরের সন্তানকে কুপিয়ে খুন, সম্পর্কে টানাপোড়েন বলে অনুমান
নিহত শিশু ও মা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 12:49 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাতের অন্ধকারে মা ও আড়াই বছরের পুত্র সন্তানকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। খুন করে শিশুর মৃতদেহ পুকুরে ফেলে দেয় তারা। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার নেতাজী গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলার মোড় এলাকায়। জানা গিয়েছে, নিহত মহিলা মঞ্জুয়ারা বিবি ও তাঁর পুত্র মিজানুর হোসেন ঢোলাহাটে থাকতেন। নিহত মঞ্জুয়ারার বয়স প্রায় ৩০ ও মিজানুরের বয়স আড়াই। মৃতার স্বামী আনোয়ার হোসেনের দুটি বিয়ে।  পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন কি না তা খতিয়ে  দেখছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আনোয়ার হোসেনের দুটি বিয়ে। প্রথমপক্ষের স্ত্রীয়ের একটি বছর দশেকের ছেলেও রয়েছে। দ্বিতীয় পক্ষ ছিলেন মঞ্জুয়ারা বিবি। তাঁরই ছেলে মিজানুর। এই দুই বিয়ে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। তারপরেই মঞ্জুয়ারা মৃত্য়ু হয়। আনোয়ারের বড় ছেলে মিরাজ হোসেন পাইকের কথায়, “আমি রাতে ঘুমিয়েছিলাম। মাও আর ভাই পাশের ঘরে ছিল। মাঝরাতে দরজায় শব্দ শুনে দরজা খুলে দিই। ঘরে কিছু লোক ঢুকে পড়ে। তাদের কাউকে চিনতে পারিনি। সকলের মুখ কালো কাপড়ে বাঁধা, মুখে মুখোশ পরা ছিল। ওরা আমায় ঘরে আটকে রেখেছিল। ওরা চলে যেতেই ঘরে ঢুকে দেখি মায়ের রক্তমাখা দেহটা ঘরে পড়ে রয়েছে। ভাই ঘরে নেই। ভাইকে খুঁজেও পাইনি। তারপরেই আব্বাকে ফোন করি। আব্বা আসে। পুলিশ আসে।”

ঘটনায়, মৃত্যুর খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই এসে পৌঁছয় ঢোলাহাট থানার পুলিশ। ঘরের মধ্যে থেকে মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। খোঁজাখুঁজি করতেই এলাকার পুকুর থেকে নিহত শিশুটির দেহ পাওয়া যায়। শুক্রবার, মৃতদেহ দু’টির ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। শিশুটিকে খুন করার পর পুকুরের জলে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে এর পেছনে পারিবারিক সম্পর্কের জের রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মৃতার স্বামী  আনোয়ার হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন আনোয়ারের প্রথম পক্ষের স্ত্রীও। আরও পড়ুন: বরযাত্রী যাওয়ার আগে পথেই শেষ! ফলতায় সলিল সমাধি ৩ নাবালক-সহ ৫