Duare Sarkar: পাড়ায়-পাড়ায় চাই ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প, দাবি জানিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির
Bhangar: মঙ্গলবার গুটি কয়েক সদস্য নিয়ে অবরোধে সামিল হন কমিটির নেতারা। পাশাপাশি টোনা উড়িয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে তালা মেরে দেন জমি কমিটির সদস্যরা।
ভাঙড়: প্রতিটি পাড়ায় ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প চাই। এমন দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার ভাঙড়ের পোলেরহাট ২ অঞ্চলের হাড়োয়া রোড অবরোধ করল জমি-জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি। এদিন হাড়োয়া রোডের ঢিবঢিবা বাজারে পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে এবং শ্যামনগর মোড়ে দফায়-দফায় অবরোধ করেন জমি কমিটির সদস্যরা।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার গুটি কয়েক সদস্য নিয়ে অবরোধে সামিল হন কমিটির নেতারা। পাশাপাশি টোনা উড়িয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে তালা মেরে দেন তাঁরা। এতে বেশ কয়েকজন কর্মচারী আটকে পড়েন ওই ক্যাম্পে। বিষয়টি নিয়ে জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, ‘শিডিউল অনুযায়ী আমাদের পঞ্চায়েতে ঠিকঠাক দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হচ্ছে না। বেছে বেছে শুধু আরাবুলের পাড়া গাজীপুরে ক্যাম্প হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পরিষেবা পাচ্ছেন না। তাই এই বিক্ষোভ কর্মসূচী।’
যদিও, মির্জার দাবি উড়িয়ে দিয়ে ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, ‘পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের সর্বত্র দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করা হচ্ছে ধারবাহিক ভাবে।ওই এলাকায় ভ্রাম্যমান ক্যাম্প হচ্ছে বিভিন্ন পাড়ায়।’
সূত্রের খবর, ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এদিন পূর্ব নির্ধারিত তালিকাও জনসমক্ষে আনা হয়। তাতে দেখা যায় মাছিভাঙা, খামারআইট, টোনা, উড়িয়াপাড়া, গাজীপুর, স্বরুপনগর, শ্যামনগর সহ পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটি বড় গ্রামেই ক্যাম্প করা হয়েছে বা হবে। এগুলি সবই আন্দোলনকারীদের গ্রাম বলে পরিচিত। এই ঘটনার নিন্দা করে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘ভুলভাল ইস্যুতে আন্দোলন করছেন ওঁরা। ওঁদের আর কোনও জনভিত্তি নেই। ক্ষতিপূরণের ১২ কোটি টাকা সবটাই আত্মসাৎ করেছেন জমি কমিটির নেতারা। তাই মানুষকে পাশে পেতে ভুল বুঝিয়ে জোর করে রাস্তায় নামিয়েছে। প্রশাসন সবকিছুর ওপর খেয়াল রেখেছে।’
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘এই সমস্যা আজকের নয়, আমাদের এখানকার প্রশাসন থেকে বিডিও প্রত্যেকে পাড়ায় দুয়ার সরকার ক্যাম্পের নাম করে প্রচার চালাচ্ছে। তবে একদিনও সেই ক্যাম্প তাঁরা করছে না। বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁদের কোনও গুরুত্ব নেই। আজকে পঞ্চায়েত অফিসে ক্যাম্প ছিল, কিন্তু কোনও জায়গা কোনও মানুষ নেই। মানুষ জানছে ক্যাম্প হবে। তাঁরা ঝড়-জল-রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্ট জায়গায় আসছে অথচ কিছুই হচ্ছে না। আমরা আজকেই বিডিওকে ফোন করেছি। কিন্তু উনি ফোন তোলেননি। সেই কারণে বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষ পথে নেমেছেন।’