পাথরপ্রতিমা: নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে বেশ কয়েকদিন। আর তার জেরে ঠাকুরান নদীর বেহাল মাটির বাঁধের বিস্তীর্ণ অংশে বড়সড় ধসের পাশাপাশি ফাটল দেখা দিয়েছিল। আর দুর্যোগ পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই বাঁধ মেরামত শুরু করল সেচ দফতর। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছে সেচ দফতর। এরপরই অভিযোগ তুলে সরব হন সেখানকার বাসিন্দারা।
বস্তুত,নিম্নচাপের প্রবল বৃষ্টির জেরে অচিন্ত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের লাহাঘেরি এলাকার সেতু সংলগ্ন প্রায় ১০০ মিটার নদী বাঁধে আচমকা ধস দেখা দেয়। প্লাবনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন এলাকার প্রায় চারশোর বেশি পরিবার। এলাকার বাসিন্দারা দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন এবং সেচ দফতরের কাছে লিখিত আবেদন জানায় তারা। বৃষ্টি থামতেই সেচ দফতর বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের পুরনো শুকনো বাঁশ দিয়ে তৈরি করা বাঁধ। এমনকী বাঁশ কাটা হচ্ছে খুবই ছোট করে। নদীর নরম মাটির মধ্যে কোনও রকমে পুঁতে দিয়ে মাটির বস্তা ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে সেচ দফতরের কর্মী হরচাঁদ বেরা বলেন, “এলাকার মানুষ আমাদের কাছে কিছু বলেনি। হয়ত মিডিয়াকে বলেছে।”