মধ্যরাতে হাসপাতালে ঢোকে উন্মত্ত যুবক, উঠল বেপরোয়া ভাঙচুরের অভিযোগ

Canning: ভাঙ্গা কাচ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গিয়ে লাগে অন্যান্য রোগীদের গায়েও। হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

মধ্যরাতে হাসপাতালে ঢোকে উন্মত্ত যুবক, উঠল বেপরোয়া ভাঙচুরের অভিযোগ
হাসপাতালে ভাঙচুর (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 8:10 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাতে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে (Canning Hospital) তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল। উন্মত্ত যুবকের দল ভাঙল বার্ণ ওয়ার্ডের কাচ। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্য রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তিকে দগ্ধ অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন কয়েকজন যুবক। এরপর স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখতে না পাওয়ায় তাণ্ডব চালান তাঁরা। ভেঙে ফেলেন বার্ণ ওয়ার্ডের কাচ। সেসময় হাসপাতালের অনান্য রোগীরা চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা চিত্কার করতে থাকেন। কিন্তু তাঁদেরকেও রীতিমতো ভয় দেখিয়ে চুপ করে রাখা হয় বলে অভিযোগ।

ভাঙ্গা কাচ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গিয়ে লাগে অন্যান্য রোগীদের গায়েও। হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কেন হঠাত্ ওই যুবকরা এমন কাজ করতে গেলেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য অনুযায়ী, “ওরা কয়েকজন ভিতরে ঢুকে আসে। আমরা তখন ঘুমোচ্ছিলাম। এক জন মত্ত ছিল। ও বেশি চিত্কার করছিল। সে সময় হাসপাতালের কর্মীকে দেখা যায় নি। প্রথমে এখানে ভাঙচুর করে। পরে সিস্টারদের ওখানে চলে যায়। সেখানে চিত্কার চেঁচামেচি করে চলে যায়। ”

সে সময় কর্তব্যরত চিকিত্সক মৃন্ময় বিশ্বাস বলেন, “রাত ১১টা নাগাদ ২০ শতাংশ সুপার ফেসিয়াল বার্ন নিয়ে এক রোগী আসে। তাঁকে যথাযথ চিকিত্সার পর বার্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তারপর তাঁর সঙ্গে থাকা যুবক বার্ন ওয়ার্ডে গিয়ে ভাঙচুর চালান। আমরা বিষয়টা আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

এদিকে, চিকিৎসার গাফিলতিতে হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের কাশিপুর থানার জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কাশিপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সূত্রের খবর, ভোগালি গ্রামের বাসিন্দা জামাল মোল্লার স্ত্রী সাবিনা বিবি গর্ভবতী অবস্থায় জিরানগাছা হাসপাতালে ভর্তি হন। গত এক সপ্তাহ আগে ভর্তি হলেও ঠিক মতন চিকিৎসা চলছিল না বলেই অভিযোগ পরিবারের। একাধিকবার এই নিয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান, তাঁদের রোগীকে আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার জন্য।

কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কথায় কান দেননি বলে অভিযোগ। অবশেষে এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকালে সাবিনা বিবির প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। সন্দ্যায় শিশুর জন্ম দেন সাবিনা বিবি। কিন্তু চিকিত্সকরা কিছুক্ষণ পরই জানান, শিশুটি মৃত।

এই ঘটনায় হাসপাতালের বিএমওএইচ জানান, কীভাবে এই শিশুর মৃত্যু হয়েছে তার তদন্ত করা হবে হাসপাতালে পক্ষ থেকে। তবে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসা নিয়ে যে অভিযোগ তুলছে তা মিথ্যে বলে দাবি করেন। হাসপাতালে যথেষ্ট ভালো চিকিৎসা হয় বলেই দাবি করেন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ায় কাশিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: সদ্যোজাতর মৃত্যুতে চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ, কাঠগড়ায় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র

আরও পড়ুন: বজবজ ফ্লাইওভারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, দেওয়ালে ধাক্কা লেগে সোজা ছিটকে পড়লেন যুবক