Biman Banerjee: ‘দাবি-দাবি করলে হবে না, সরকারের অসুবিধা বুঝতে হবে’, DA প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের বার্তা বিমানের
DA issue: রবিবার বারুইপুরের একটি অনুষ্ঠানে যান বিধানসভার অধ্যক্ষ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিএ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ডিএ নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে মুখ্যমন্ত্রী চান না কারোর অসুবিধা হোক।'
বারুইপুর: শনিবার মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নিয়ে আশ্বাসের সুর শোনা গিয়েছিল কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। তবে তা পেতে হলে সরকারি কর্মীদের ধৈর্য ধরতে হবে বলেও পরামর্শ দেন তিনি। এবার প্রায় একই সুর শোনা গেল বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। প্রথমে ডিএ নিয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও পরে তিনি সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে জানান, ‘সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে ডিএ দেওয়ার। তবে রাজ্য সরকারের আর্থিক সংকটের বিষয়টিও বুঝতে হবে কর্মীদের।’
রবিবার বারুইপুরের একটি অনুষ্ঠানে যান বিধানসভার অধ্যক্ষ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডিএ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ডিএ নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। তবে মুখ্যমন্ত্রী চান না কারোর অসুবিধা হোক। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে রাজ্য। সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে ডিএ দেওয়ার। তবে আমাদের আর্থিক সংকটের দিকটাও মাথায় রাখতে হবে। এরা আমাদের সরকারি কর্মচারি। তাই সরকারকে সহযোগিতা করাও এদের কর্তব্য। শুধুমাত্র দাবি-দাবি-দাবি করলে হবে না।’
এর পাশাপাশি বাম জমানার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ ২০১১ সালের আগে আমি দেখেছি দুপুর ২টোয় কর্মচারীরা এসে পোস্টার লিখছেন সময়ের কাজ সময়ে করুন। এখন এরাই দাবি আদায়ের জন্য পথে নেমেছেন। সরকারের অসুবিধার কথা সাধারণ মানুষ ও সরকারি কর্মচারীদের বুঝতে হবে।’
এ দিন, সাংবাদিকরা অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করেন যে, মহার্ঘ ভাতা না পেয়ে সরকারি কর্মচারীরা কি বঞ্চিত হচ্ছে না? সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নে বিমান বলেন, ‘সরকারি কর্মীদের বেতনের পরিকাঠামো দেখলেই আপনারা বুঝবেন তাঁরা যে বেতন পান আমার মনে হয় না তাঁদের জীবনে কোনও অসচ্ছ্বলতা থাকতে পারে। তার অর্থ এই নয় যে তাঁদের ডিএ-র অধিকার নেই। বিষয়টি ভেবে দেখতে বলব।’