বকখালিতে চোরা দ্বীপে ধাক্কা খেয়ে ডুবল ট্রলার, নিখোঁজ ১০!
Accident: বুধবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ট্রলার ডুবি বকখালিতে। মাছ ধরে ফেরার সময়ে রক্তেশ্বরী নামে একটি চোরা দ্বীপে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিপত্তি বঙ্গোপসাগরে। বুধবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ট্রলার ডুবি বকখালিতে। মাছ ধরে ফেরার সময়ে রক্তেশ্বরী নামে একটি চোরা দ্বীপে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি (Trawler)। জলে ডুবে নিখোঁজ দশজন। উদ্ধার করা গিয়েছে দুই জনকে। বাকিদের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার ভোর পাঁচটা নাগাদ হৈমবতী নামের ট্রলারটি (Trawler) সমুদ্র থেকে ফেজ়ারগঞ্জ থেকে ফিরছিল। ট্রলারে ছিলেন প্রায় ১২ জন মৎস্যজীবী। ফেজ়ারগঞ্জে ফেরার পথে রক্তেশ্বরী নামে একটি চোরা দ্বীপে আচমকা ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় ট্রলারটি। সঙ্গে সঙ্গে জলে পড়েযান সকলে। কাছাকাছি থাকা অন্যান্য ট্রলারের মাঝিরা কোনওরকমে দুজন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। বাকিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী মৎস্যজীবী গৌতম মাঝি বলেন, ”পারমিতা ট্রলারের (Trawler) জামাল মাঝি আর সাইড মাঝিরা দুজনকে উদ্ধার করেছে। বাকিদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর বাকি মাঝিরা মিলে ওই নৌকাটাকে টেনে বেঁধে আনা হয়। ট্রলার উদ্ধারে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। জলের ঢেউয়ে ওই ট্রলারের কাছে যাওয়ার সমস্যা ছিল। দুজনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের পাওয়া যায়নি।”
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “দশমাইলের ওই হৈমবতী নামের ট্রলারটি (Trawler) সমুদ্র থেকে ফিরছিল। পাঁচটা নাগাদ মাছ ধরে ফিরছিলেন মাঝিরা। কেবিনের মধ্যেই হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। তাই জলে ট্রলার উল্টে গেলে তাঁরা বেরতে পারেননি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়েই অন্য ট্রলারের মাঝিদের সাহায্য করতে বলি। এখান থেকেও লোক পাঠানো হয়। মৃতদেহগুলির খোঁজ চলছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকেও উপকূলে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ নেতৃত্বে ‘না’, ভাঙড়ে পুলিশ ক্যাম্প সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ পরিবেশ রক্ষা কমিটির, নেপথ্যে কি ক্ষমতায়ন?