TMC Clash: এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে কোন্দল তৃণমূলের, গোসাবায় ভরসন্ধ্যায় চলল গুলি!

South 24 Pargana: সোমবারই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন, ক্যানিং ও গোসাবা থানার পুলিশ। হামলার ঘটনায়  চিত্ত প্রামাণিকের দেহরক্ষী-সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

TMC Clash: এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে কোন্দল তৃণমূলের, গোসাবায় ভরসন্ধ্যায় চলল গুলি!
তৃণমূলের গলার কাঁটা সেই নির্দল ( প্রতীকী চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2022 | 2:46 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের (TMC Clash) জেরে এবার প্রকাশ্যে চলল গুলি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা গোসাবা থানার বেলতলী বাজার এলাকায়। সোমবার সন্ধ্যায় যখন শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূলের নেতা বরুণ ওরফে চিত্ত প্রামানিক দলের বৈঠক সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই তাঁর উপরে দলেরই নেতা পরিতোষ হালদারের অনুগামীরা হামলা করে। চলে গুলিও।

চিত্ত প্রামাণিক অভিযোগ করে জানান, আচমকা, পরিতোষ হালদারের লোক এসে হামলা করাতে বাধ্য হয়ে তাঁর দেহরক্ষী শূন্যে একটি গুলি করেন। সেই গুলির বদলে পাল্টা গুলি চালায় তৃণমূলের বি-গোষ্ঠী বলে অভিযোগ। কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গুলি চালানোর জেরে কয়েকটি দোকানের শেডও ভেঙে যায়। প্রাণ বাঁচাতে দোকানিরা কোনওরকমে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে বাঁচেন।

এদিকে, পাল্টা পরিতোষ বাহিনীর অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই চিত্ত প্রামাণিক এলাকা দখল করতে  তৎপর। সোমবার রাতে চিত্তের অনুগামীরাই প্রথম ইটপাটকেল নিয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। পাল্টা, হামলা আটকাতে গেলে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় এক এলাকাবাসীর কথায়, “এখানে আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। আচমকাই এসব গোলাগুলি চলতে থাকে। এদিনও তাই হয়েছে। আচমকা গুলি চলতে শুরু করে। আমরা কোনওরকমে পালিয়ে যাই। কিন্তু অনেক দোকানের ক্ষতি হয়েছে। আমরা ভয়ে রয়েছি। ছোট বাচ্চারা রয়েছে। একটা বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে।”

সোমবারই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন, ক্যানিং ও গোসাবা থানার পুলিশ। হামলার ঘটনায়  চিত্ত প্রামাণিকের দেহরক্ষী-সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই দেহরক্ষীর পিস্তলটিও। বাকি কারা ওই হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

তবে গোসাবায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন কিছু নয়। গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। গোসাবায় কোথাও দলের কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। যদি দলের কোনও কর্মী এই হামলার ঘটনায় যুক্ত থাকেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে দল একথাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন বিধায়ক।

উল্লেখ্য, বরাবরই স্পশর্কাতর এলাকা বলে পরিচিত গোসাবা। উপনির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয় গোসাবায়। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলে, তা নিশ্চিত করতে ভোট ঘোষণার পর থেকে গোসাবার পরিচিত অন্তত ১৫০ জন অপরাধীকে নজরে রাখা হয়েছিল।  প্রায় ৭৯ শতাংশ বুথে ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালিয়ে চলেছিল ভোটপর্ব।

আরও পড়ুন: Adir Chowdhury on Kiranmay Nanda: ‘সকলেই জানে কে, কখন জ্যোতি বসুকে মাছ পাঠাত’