ISF: ‘দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই অপসারণ করছেন’, তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে সরব দলেরই কর্মী

Bhangar: একটি পুরনো অডিয়ো রেকর্ডকে হাতিয়ার করে আসরে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। সবমিলিয়ে নতুন করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ ভাঙড়ে।

ISF: 'দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেই অপসারণ করছেন', তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে সরব দলেরই কর্মী
কাইজার আহমেদ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2022 | 12:13 PM

ভাঙড়: পঞ্চায়েত নির্বাচন যত কাছে আসছে, তত অশান্তির খবর উঠে আসছে। কোথাও বোমা উদ্ধার হচ্ছে, কোথাও আবার সামনে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। আর শাসক-বিরোধী তরজা তো লেগেই রয়েছে। এবার পঞ্চায়েত ভোট কাছে আসতেই শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হতে শুরু করেছে ভাঙড়ে। এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় দীর্ঘদিনের অঞ্চল সভাপতিদের বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাইজার আহমেদের বিরুদ্ধে। এমনকী পুরনো কল রেকর্ড তুলে এনেও তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

সবকিছু ঠিক থাকলে নতুন বছরের শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে এ রাজ্যে। তাঁর আগে ভাঙড়ের প্রতিটি ব্লক অনুযায়ী তৃণমূলের সভাপতিদের নাম ঘোষণা হবে। সেই ঘোষনার দোড় গোড়ায় দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু করে দিল ভাঙড়ের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী।

একটি পুরনো অডিয়ো রেকর্ডকে হাতিয়ার করে আসরে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। সবমিলিয়ে নতুন করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ ভাঙড়ে।

গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের সময় বোমাবাজির ঘটনায় আদালতের রায়ে কাইজার ছিলেন বাড়িছাড়া। সেই সময় কাইজার দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলেন তাঁর পরিচিত এক আইএসএফ নেতা সরিফুল মোল্লার সঙ্গে। তাতে সরিফুল কাইজারকে আইএসএফে যোগ দিতে বলেন এবং লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার কথা বলেন। কাইজার নাকি এক কোটি টাকা পর্যন্ত রাজি ছিলেন বিধানসভার টিকিটের জন্য।

এই অডিয়ো হাতে আসতেই আসরে নেমে পড়েছেন কাইজার বিরোধী প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিম, মোফাজ্জল গাজি সহ অনান্যরা। ফজলে করিম সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘কাইজারের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা এলাকায় লড়াই করছেন। তিনিই তলে তলে আইএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। উনি দল করেন শুধু তোলাবাজির জন্য। কাইজার পঞ্চায়েতের টেন্ডার থেকে দশ শতাংশ কমিশন নেন। যে সমস্ত তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে ওর বিরোধ হয় উনি তাঁদের আইএস এফের তকমা দিয়ে গ্রেফতার করে দিচ্ছেন। এমন নেতার অপসারণ চাই।’ যদিও এই বিষয়ে কাইজার আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

অপসারিত অঞ্চল সভাপতি বলেন, ‘আমি ওর কথা শুনে কাজ করিনি বলে আমাকে অপসারণ করে দিয়েছে কাইজার। আমার আর্জি পুনরায় যেন আমি এই পদ ফিরে পাই।’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘অডিয়ো ক্লিপে কী বলা হয়েছে। আদৌ উনি টাকা চেয়েছেন কি না তা সবটাই আইএসএফ আর তৃণমূল বলতে পারবে। বামেদের উপর শুধু যে যার মতো দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।’ অপরদিকে, নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা সত্য কাইজার সাহেব যোগাযোগ করেছিল। নির্বাচনের সময় উনি যোগাযোগ করেছিলেন আইএসএফ-এর সঙ্গে। তবে সচ্ছতার অভাবের জন্য ওনার আইএসএফ টিকিট দেয়নি ওনাকে।’