Canning MLA: জেলে বসেই বিধায়ককে খুনের ছক, অবশেষে পুলিশের জালে সেই যুবক

Canning: এই চিরঞ্জিতের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় দু'টো অভিযোগ রয়েছে। জেলও খেটেছেন বলে জানান ক্যানিংয়ের এসডিপিও।

Canning MLA: জেলে বসেই বিধায়ককে খুনের ছক, অবশেষে পুলিশের জালে সেই যুবক
বিধায়ক পরেশরাম দাস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 8:29 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক যুবকের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস। ১৮ মে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সোমবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চিরঞ্জিত হালদার ওরফে চিরণ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। এই অভিযোগের ভিত্তি কী, এই ষড়যন্ত্রে আর কারা যুক্ত, কোন পথে পরিকল্পনা সফল করার চেষ্টা করছিলেন তিনি সবটাই জানতে চায় পুলিশ। বিধায়ক পরেশরাম দাস আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন, গোপন সূত্রে তাঁর কাছে খবর এসেছে, ক্যানিংয়েরই যুবক চিরঞ্জিত হালদার ওরফে চিরণ তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করছে। বিধায়কের বক্তব্য ছিল, চিরঞ্জিত তাঁকে সুপারি কিলার দিয়ে মারতে চান। এরপরই ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরেশরাম।

ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, “গত ১৮.৫.২০২২ তারিখে আমাদের ক্যানিং থানায় একটা অভিযোগ আসে। চিরঞ্জিত হালদার নামে একজন তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক। এরপরই শুরু হয় তদন্ত। ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু হয়। সোমবার নরেন্দ্রপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে। আমরা সাতদিনের পুলিশি হেফাজত চাইব। এরপর আদালত যা নির্দেশ দেবে। হেফাজতে নিয়ে আমরা অভিযুক্তকে জেরা করে মূল ঘটনা জানতে চাইব। আর কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তাও জানতে চাওয়া হবে। কীভাবে গোটা ঘটনা সাজাতে চেয়েছিল খুঁজে বের করব।”

এই চিরঞ্জিতের বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় দু’টো অভিযোগ রয়েছে। জেলও খেটেছেন বলে জানান ক্যানিংয়ের এসডিপিও। পুলিশ সূত্রে খবর, ক্যানিংয়ের এক গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল চিরঞ্জিতকে। সোমবার রাতে সেই অভিযুক্তকে নরেন্দ্রপুর থেকে গ্রেফতার করে বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ বা এসওজি ও ক্যানিং থানার পুলিশ।

এই চিরঞ্জিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বারুইপুর জেলে থাকাকালীন চিরঞ্জিত ও তাঁর শাগরেদরা পরেশরাম দাসকে খুনের ছক কষেন। সেই ঘটনাটি জানতে পেরে জেলেরই একজন ফোন মারফৎ বিধায়ককে জানান। এরপর বিধায়ক লিখিতভাবে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শ্রীমতি পুষ্পাকে বিষয়টি জানালে নড়েচড়ে বসে পুলিশ।