MLA Nawsad Siddique: বিস্ফোরক নওশাদ সিদ্দিকি, ‘সেদিন বেশি দূরে নেই, উডবার্নে বিশ্রাম নিতে যাবেন সওকত মোল্লা…’

Post Poll Violence: রবিবার ক্যানিং পূর্ব ও ভাঙড় বিধানসভা এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে আহত আইএসএফ ও বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা।

MLA Nawsad Siddique: বিস্ফোরক নওশাদ সিদ্দিকি, ‘সেদিন বেশি দূরে নেই, উডবার্নে বিশ্রাম নিতে যাবেন সওকত মোল্লা…’
দুই বিধায়কের তরজা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2022 | 10:20 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে বিজেপির পাশাপাশি আদালতে গিয়েছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ (ISF)। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি ভাঙড় ও ক্যানিং পূর্বে গিয়েছিল মানবাধিকার কমিশনের দল। এই দলকে তীব্র কটাক্ষ করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা। তিনি দাবি করেন, ‘বিজেপির মদতপুষ্ট’ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এই বক্তব্যের পরই সওকত মোল্লাকে নিশানা করলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। নওশাদের ভবিষ্যদ্বাণী, সেদিন খুব দূরে নয়, যেদিন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ককে পিজি হাসপাতালের উডবার্নে গিয়ে ভর্তি হতে হবে। নওশাদের অভিযোগ, ভোটের পর থেকে সওকতের মদতেই এলাকায় ঝামেলা হয়েছে।

রবিবার ক্যানিং পূর্ব ও ভাঙড় বিধানসভা এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে আহত আইএসএফ ও বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা অভিযোগের আঙুল তোলেন এলাকার বিধায়ক সওকত মোল্লার দিকে। এরপরই সোমবার ভাঙড়ের সোন্দালিয়ায় এক কর্মিসভায় উপস্থিত হয়ে পাল্টা মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে কটাক্ষ শানান সওকত। বলেন, “জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওরা যাদের নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেরিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে। ওরা তথ্য চাইলে আমি সেটাও দিয়ে দেব, কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, ক’টা অভিযোগ। আসরাফ মোল্লা বলে একজন ছিলেন, তিনি আইএসএফের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন ক্যানিং পূর্বে। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। অথচ উনি সঙ্গে ঘুরলেন।”

এরই পাল্টা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “শুধু জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ছিলেন না, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্যও ছিলেন। সওকত মোল্লা সাহেব যা বলছেন তা ভিত্তিহীন। এরা বিজেপির মদতপুষ্ট টিম, এ কথা খাটে না। উনি আসলে আতঙ্কে আছেন। তাই কী বলছেন বুঝতে পারছেন না। আমরা আইএসএফ কর্মীদের হয়ে আদালতে আবেদন করেছিলাম, ভোটের এতদিন পরও আমাদের লোকেরা ফিরতে পারছে না। ফিরে যে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই।”

নওশাদের দাবি, “সওকত মোল্লার মদতপুষ্টদের এই ঝামেলা মানবাধিকার দল দেখে গিয়েছে। আদালত অত্যাচারিতদের পক্ষে রায় দেবে। একইসঙ্গে বলে রাখি আগামিদিনে হয়ত দেখব, খুবই তাড়াতাড়ি সওকত মোল্লা সাহেব এই পিজির উডবার্ন ওয়ার্ডে হয়ত কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম নেবেন। কারণ, তাঁর সময় এসে গিয়েছে। উনি বিরোধীদের উপর যে অত্যাচার করেছেন, বুলডোজার চালিয়ে সাধারণ মানুষের ঘর ভেঙেছেন, পুকুর খনন করেছেন জমির উপর, পুলিশ না দেখলেও আইনের চোখে তা ফাঁকি পড়বে না।”