দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গত কয়েকদিনে আবাস যোজনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Awas Yojona) তালিকা প্রকাশ হতে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপে। কাকদ্বীপ ব্লকের মাধবনগর গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর প্রাপকদের তালিকায় পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের নাম থাকার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আবাস যোজনার তথ্য যাচাই করছেন। সেই তথ্য যাচাইয়ে বেরিয়েই শুক্রবার এই ঘটনা সামনে আসে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পাকা ঘর থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় শ্রীনগর পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বনাথ বেরা তাঁর ছেলে সুমন বেরার নাম আবাস যোজনার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তালিকায় নাম তোলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। এর জেরে যাঁরা ঘর পাওয়ার প্রকৃত দাবিদার, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মানসী দেবনাথ সামন্ত নামে এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বক্তব্য আরও চাঞ্চল্যকর। মানসীদেবীর কথায়, “কেউ বলছে রান্নাঘরের ছবি তুলতে, কেউ বলছে গোয়াল ঘরের ছবি তুলতে। এদিকে তাদের পাকা বাড়ি আছে। আমাদের চেনা গ্রামই দিয়েছে। আমরা তো জানি কার কী আছে। তাই ছবি যাই তুলি না কেন রিপোর্টে যা লেখার লিখেছি। যেটা সঠিক, সেটাই লিখেছি। আমরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হতে পারি, কিন্তু আমাদের পাঠানো হয়েছে বিডিও অফিস থেকে। আমাদের যেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেইমতোই আমরা কাজ করছি। এর বাইরে আমরা কিছুই করব না।”
এ নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে কাকদ্বীপের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিশ্বনাথ বেরা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে সমীক্ষায় কোনওভাবে ছেলের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছিল। এখন যারা সমীক্ষা করছেন, তাঁরা বাদ দেবেন। এর সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর কোনও প্রশ্নই নেই। বিশ্বনাথ বেরার কথায়, “তদন্তকারী অফিসাররা গিয়ে যদি দেখেন প্রাপ্য নয়, তাহলে তা বাতিল করবে। অভিযোগ তো নানারকমই ওঠে। তবে আমি প্রধান হিসাবে কখনওই কোনও কিছু চাপিয়ে দিইনি।”