Trafficking : রাজ্য পুলিশের বড় সাফল্য! পাচার হওয়া মহিলার তদন্ত করতে গিয়ে সন্ধান মিলল নতুন রহস্যের

Women harassment: আরও দুই নবালিকা সহ ৫ মহিলাকে দিল্লির মদনপুর-খাদার এলাকার একটি বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করল ঢোলাহাট থানার পুলিশ।

Trafficking : রাজ্য পুলিশের বড় সাফল্য! পাচার হওয়া মহিলার তদন্ত করতে গিয়ে সন্ধান মিলল নতুন রহস্যের
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ঝুলিয়ে দিল অপরাধীরা প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2021 | 6:35 AM

ডায়মন্ডহারবার: আগেই নারী পাচারের খবর মিলেছিল পুলিশের। যার কারণে যথাযথ তদন্ত শুরু করে তারা। কিন্তু কে জানত এই তদন্ত করতে গিয়ে মিলবে আরও রহস্যের খোঁজ!পাচার হয়ে যাওয়া এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে আরও দুই নবালিকা সহ ৫ মহিলাকে দিল্লির মদনপুর-খাদার এলাকার একটি বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করল ঢোলাহাট থানার পুলিশ। ঘটনাস্থান থেকে হাতে গ্রেফতার পাচারকাণ্ডের মূলপাণ্ডা।

গত সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখে আয়ার কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে ঢোলাহাট এলাকার এক গৃহবধূকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছিল এলাকার দুই বাসিন্দা। তাদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিল। অভিযোগ সেখানে পৌঁছানোর পরই একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়। তবে সেই ঘরে দুই নাবালিকা সহ আরও পাঁচ মহিলা আগে থেকেই আটকে ছিল। পরে ওই বধূ জানতে পারেন তারাও সকলেই ঢোলাহাট এলাকার বাসিন্দা। তাদের প্রত্যেককে দেহ ব্যবসার কাজে লাগানো হবে বলেই জানায় অভিযুক্ত।

এরপরই বুদ্ধি বের করেন মহিলা। অভিযুক্ত পাচারকারীদের ওই মহিলা জানান সন্তানদের জন্য মনখারাপ করছে তাই বাড়ি ফিরতে চান। কিন্তু প্রথমে রাজি না হলেও পরে মহিলার কাতর অনুরোধে রাজি হয়ে যায় তারা। বাড়ির জন্য ছাড় পাওয়ার পরই ওই মহিলা সোজা চলে যায় পুলিশস্টেশনে। সেখানে সম্পুর্ণ ঘটনার কথা জানায় তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। এরপর ঢোলাহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর শুভেন্দু দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দিল্লির মদনপুর-খাদার এলাকায় হানা দেয়।

সূত্রের খবর এর আগে যে সকল মহিলাকে পাচার করেছে অভিযুক্তরা সেই সকল মহিলাকে হয় প্রেমের প্রস্তাব নয়ত মোটা টাকা কাজের লোভ দেখিয়ে দিল্লিতে পাচার করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল। ঘটনাস্থান থেকেই হাতেনাতে গ্রেফতার মূল পান্ডা । শনিবার রাত ৮টা নাগাদ উদ্ধার সমস্ত মহিলা সহ ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে ঢোলাহাটে নিয়ে আসা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এদিকে সীমান্তে পাচারের আগেই দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জওয়ানরা চোরাচালানকারীদের সবরকম চেষ্টা ভেস্তে দিচ্ছেন। কার্যত চোরাচালানকারীদের কোমর ভেঙে দিয়েছে বিএসএফ। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ জওয়ানরা কড়া হাতে চোরাচালান দমন করছেন। পাচারকারীদের পরিকল্পনা ক্রমাগত বানচাল করে দিচ্ছেন । কয়েকদিন আগেই জওয়ানরা ১০ টি সোনার বিস্কুট সহ এক চোরাচালানকারীকে হাতেনাতে পাকড়াও করেন। আটক করা সোনার বিস্কুটের ওজন ১ কেজি ২৪১ গ্রাম। যার আনুমানিক মূল্য ৫৭ লাখ ১২ হাজার ৮১৯ টাকা। ধৃত ব্যক্তি ওই সোনার বিস্কুটগুলি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসছিল।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের মুখে ‘হুমকি’ প্রাক্তন কেএলও জঙ্গির!