রেকর্ড সংখ্যক বাঁধ ভেঙেছে গোসাবায়! বিডিও দফতরের ভিতরেই খেলছে জোয়ার-ভাঁটা! ব্যাহত ত্রাণ পরিষেবা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব (Yaas Effect) এবার সে অর্থে পড়েনি গোসাবায় (Gosaba)। কিন্তু পূর্ণিমার কোটালের কারণে নদী গুলির জলস্ফিতি যে এবার এইভাবে ভাসিয়ে দেবে গোটা গোসাবাকে, তা কেউই ঠাওর করতে পারেননি।

রেকর্ড সংখ্যক বাঁধ ভেঙেছে গোসাবায়! বিডিও দফতরের ভিতরেই খেলছে জোয়ার-ভাঁটা! ব্যাহত ত্রাণ পরিষেবা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 30, 2021 | 10:28 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব (Yaas Effect) এবার সে অর্থে পড়েনি গোসাবায় (Gosaba)। কিন্তু পূর্ণিমার কোটালের কারণে নদী গুলির জলস্ফিতি যে এবার এইভাবে ভাসিয়ে দেবে গোটা গোসাবাকে, তা কেউই ঠাওর করতে পারেননি। আয়লা, ফণি, বুলবুল, আমফান- একের পরে এক ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটা সহ্য করেছে এই বাদাবন। কিন্তু নদী বাঁধ ভাঙ্গা কিংবা জলোচ্ছ্বাসে এত ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা এর আগে হয়নি।

এবারই গোসাবায় সবথেকে বেশি জল উঠেছে এখানকার নদী গুলিতে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই এলাকার মধ্যে ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধুমাত্র নোনা জল ঢুকে নষ্ট করেছে বিঘার পর বিঘা ফসল। জলের হাত থেকে রেহাই পায়নি খোদ ব্লক প্রশাসন অর্থাৎ বিডিও অফিস।

বিডিও অফিসের ভিতরেই রীতিমতো জোয়ার-ভাটা খেলছে। অফিসের নিচের তলায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অচিন পাইক ও সহকারি সহকারি সভাপতি কৈলাস বিশ্বাসের ঘরে থই থই অবস্থা। অন্যান্য ঘরগুলোতেও একই অবস্থা। অফিসের মধ্যেই জলের সঙ্গে আসছে সাপ-ব্যাঙ অন্যান্য পোকামাকড়। যে কারণে আতঙ্কে এই মুহূর্তে বিডিও অফিস মুখো হচ্ছেন না কেউই।

সরকারি আধিকারিকরাও বসতে পারছেন না নিজেদের ঘরে। ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজেও ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে ব্লক প্রশাসনকে। কোনওরকমে দোতলা থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ওপরে নজর রেখে চলেছেন প্রশাসনিক কর্তারা। এই সমস্যাকে স্বীকার করে নিয়েছেন গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র।

আরও পড়ুন: মৃত্যু আরও এক পুলিশকর্মীর, লালবাজার এ বার ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এ!

শুধু গোসাবা ব্লকের দেড় লক্ষাধিক মানুষকে বিভিন্ন ফ্লাড সেলটার,বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, স্কুল বাড়ি এমনকি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জোর তৎপরতা শুরু করা হয়েছে নদীবাঁধ বাঁধার ক্ষেত্রে। কিন্তু এবার যে পরিমাণ নদীবাঁধ ভেঙেছে, যা সর্বকালের রেকর্ড। নদীতে জলস্ফিতি থাকায় বুধবারের পর থেকে এখনও সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সেচ দফতরের কর্মীদের।