Siliguri: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৫ কোটির জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, প্রশাসনে জানিয়েও হচ্ছে না সুরাহা

Siliguri: ৫ কোটির সরকারি জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ি মহকুমার গোঁসাইপুরের স্থানীয় শাসক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়ার পর জমি পুনরুদ্ধারে গড়িমসি প্রশাসনের।

Siliguri: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ৫ কোটির জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, প্রশাসনে জানিয়েও হচ্ছে না সুরাহা
ছবি - বড়সড় জমি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 11, 2022 | 7:00 PM

শিলিগুড়ি: শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার সরকারি জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য শিলিগুড়ি মহকুমার (Siliguri Subdivision) গোঁসাইপুরে। গোঁসাইপুরে এশিয়ান হাইওয়ের ধারে লস্ক নদীর চরে থাকা সরকারি জমি (Government Land) দখলের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের স্থানীয় নেতা শ্যামল ঘোষের বিরুদ্ধে। মজার বিষয় হল ঘটনায় জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন খোদ জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী। তা স্বীকার করে নিয়েছে ভূমি সংস্কার দফতর। কিন্তু, জমি পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

যে জমি ঘিরে বিতর্ক ওই জমির ঠিক পাশেই একদিকে রয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। অন্য পাশে রয়েছে বেসরকারি টাউনশিপ। মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে লস্ক নদী। এখানেই ঠিক এশিয়ান হাইওয়ের লাগোয়া এলাকায় প্রায় একবিঘে সরকারি জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে। যার বাজার দর কয়েক কোটি টাকা বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। 

এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে জমিতে গড়ে উঠেছে আস্ত দোকান, গোডাউন। দোকানে উপস্থিত এক ব্যক্তি অবশ্য ক্যামেরা দেখেই মুখে কুলুপ এটে দোকান ছেড়ে অনত্র চলে গিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী বলেন, “কে কোন দলে আছেন তা বিষয় নয়। সরকারি জমি দখল করে যারা কোটি টাকায় কেনাবেচা করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে এটাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ। এই জমি সরকারি নথিতে নদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু তা দখল করে এভাবে দিনের আলোয় কারবার চলছে প্রকাশ্যেই। আমার অভিযোগের ভিত্তিতে ভূমি রাজস্ব দফতর এলাকায় তদন্ত চালিয়ে আমায় জানিয়েছে এই জমিটি সরকারি জমি এবং নদী হিসেবেই অন্তর্ভুক্ত। এবার তারা ওই দখলদারের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিক”। 

তবে এসব নিয়ে বিরোধীরা অবশ্য শাসক দলকেই বিধঁছে। প্রাক্তন বিধায়ক ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকারের অভিযোগ, “চুনোপুঁটিদের ধরে রাঘববোয়ালদের আড়াল করছে সরকার। সবাই জানে এরা শাসক দলের নেতা। তাই কেউ কিছুই বলেন না। আমি আসল রাঘববোয়ালের তালিকা বিধায়ক থাকার সময়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছিলাম। বাস্তবে কিছুই হয় নি”। এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাপানউতর তৈরি প্রশাসনিতক মহলে।