পুলিশের ঘরে চোর! ব্যারাক থেকেই চুরি গেল এসটিএফের দুটি নাইন এমএম পিস্তল ও ৩৬ রাউন্ড গুলি!

Siliguri STF: এসটিএফ(STF)-এর ব্যারাক থেকে চুরি গেল দুটি নাইন এমএম পিস্তল এবং ৩৪ রাউন্ড গুলি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়েছে শিলিগুড়ির পুলিশ মহলে।

পুলিশের ঘরে চোর! ব্যারাক থেকেই চুরি গেল এসটিএফের দুটি নাইন এমএম পিস্তল ও ৩৬ রাউন্ড গুলি!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 8:14 PM

শিলিগুড়ি: এসটিএফ(STF)-এর ব্যারাক থেকে চুরি গেল দুটি নাইন এমএম পিস্তল এবং ৩৬ রাউন্ড গুলি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়েছে শিলিগুড়ির পুলিশ মহলে। যদিও এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে রাজি নন পুলিশকর্তারা।

জানা গিয়েছে, গত ১২ আগস্ট সকালে দার্জিলিং মোড়ে এসটিএফের ব্যারাকের কর্মীরা আবিষ্কার করেন তাঁদের দুটি নাইন এমএম পিস্তল বেপাত্তা! কোথায় গেল সেগুলো? সেই আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ করতে গিয়ে ফের চমক। দেখা গেল ৩৬ রাউন্ড গুলিও চুরি গিয়েছে! তোলপাড় শুরু হয় এসটিএফ ব্যারাকে।

সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এরপর এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পুলিশ। শুরু হয় তার খোঁজ। অবশেষে শুক্রবার সন্তু দেব নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় যে মাটিগাড়া সংলগ্ন একটি নদীর পাশে ওই অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে সে। এর পর রাতে সাদা পোশাকের পুলিশ গিয়ে দুটি নাইন এমএম পিস্তল এবং ৩৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।

এদিকে এই ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কোন পদস্থ পুলিশ কর্তা। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বমাল আটক হওয়ার পরেও তাঁরা এ নিয়ে কিছু বলছেন না। এসটিএফের এসপি জশপ্রীত সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানাব।’ তবে তার পর আর তিনি ফোন তোলেননি। অন্যদিকে ডিএসপি এসটিএফ সুদীপ ভট্টাচার্য সাফ জানান, ”এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”

অন্যদিকে পুলিশ সূত্রেই খবর, আটক হওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও জেনারেল ডায়েরি করা হয়নি। তাকে অন্য এক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ।

উল্লেখ্য, বছর খানেক আগে থানা থেকে একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল ঝাড়গ্রামে। প্রথমে কেউ বুঝতে পারছিলেন না কী ভাবে চুরি হয়ে যাচ্ছে সে সব। শেষে ধরা পড়ল সর্ষের মধ্যেই ভূত! খোদ পুলিশ অফিসারই থানা থেকে সরাচ্ছিলেন একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র! সেবার ঝাড়গ্রামের লালগড় থানা থেকে ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র চুরির অভিযোগে জামবনি থানার সাব ইনস্পেক্টর তারাপদ টুডুকে বুধবার গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। তারাপদের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় আরও তিন জনকে। তাঁরা যদিও পুলিশ কর্মী নন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, বড় একটি অস্ত্রপাচার চক্র এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। আরও পড়ুন: দিঘায় সমুদ্রস্নানে আতঙ্ক! ঘোলাটে-কালো জল দেখে পড়িমরি ছুট পর্যটকদের