Islampur Chaos: পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ, গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যুতে উত্তাল ইসলামপুর
Chaos in Islampur: ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। তারা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন।
ইসলামপুর: বুধবার রাতে গুলিবিদ্ধ (Firing in Islampur) হয়েছিল মহম্মদ সাগির নামে বছর বাইশের এক যুবক। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই যুবকের। আর এই মৃত্যু ঘিরেই উত্তাল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানা এলাকার গুঞ্জুরিয়া। এদিন যুবকের দেহ এলাকায় এসে পৌঁছাতেই পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার না হওয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। তারা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু এরই মধ্যে আবার অভিযুক্ত এক যুবকের বাড়িতে খড়ের গাদায় আগুন লাগে। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বর্তমানে চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ বাহিনী। এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা তাপস বিশ্বাস বলেন, ‘রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের কাছে গুলি-বোমা দেখা যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন সেই গোলা-বারুদ উদ্ধার করে মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া থেকে ব্যর্থ। আমরা চাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য এই গুলি-বন্দুক উদ্ধার করা হোক।’
ঘটনার খবর পেয়ে গিয়ে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন স্থানীয় ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সাদিকুল ইসলামও। তিনিও দোষীদের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইসলামপুরের আইসি এসে আশ্বাস দিয়েছেন দোষীদের ধরা হবে। কিন্তু দিনের পর দিন এই যে ঘটনা ঘটেছে, এর থেকে নিস্তার কবে?’ পাশাপাশি এলাকায় যে সব বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রয়েছে, সেগুলিই দ্রুত উদ্ধার করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, যদি এমন ঘটনা ঘটতেই থাকে তাহলে আলাদা পুলিশ জেলা করে কী লাভ হল? যদিও বিষয়টি নিয়ে শাসক শিবিরের স্থানীয় নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।