BJP Leader Murder: ইটাহারে বিজেপি নেতা খুনে গ্রেফতার ১, কারণ নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ
Itahar: এক রাত পেরিয়ে গিয়েছে খুনের ঘটনার। সোমবার সকাল থেকেই থমথমে এলাকা। এলাকায় শান্ত ছেলে বলেই পরিচিত ছিলেন মিঠুন।
উত্তর দিনাজপুর: ইটাহারে (Itahar) বিজেপি (Bengal BJP) নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক অভিযুক্তকে। এখনও অধরা আরেক অভিযুক্ত। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে দুজনের নাম উঠে আসছে তাঁরা নিহত বিজেপি নেতা মিঠুন ঘোষের পূর্ব পরিচিত। তাঁরা তিন বন্ধুও ছিলেন। আবার আরও একটি বিষয় উঠে আসছে। নিহত মিঠুন ঘোষে বিজেপি করলেও বাকি দুজন তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এক রাত পেরিয়ে গিয়েছে খুনের ঘটনার। সোমবার সকাল থেকেই থমথমে এলাকা। এলাকায় শান্ত ছেলে বলেই পরিচিত ছিলেন মিঠুন। এলাকায় শান্ত স্বভাবের ছেলে হিসাবে পরিচিত ছিলেন মিঠুন। স্থানীয়দের আপদ বিপদে রঙের উর্ধ্বে উঠেই ঝাঁপিয়ে পড়তেন। কিন্তু এটাও ঠিক, এর আগেও মিঠুনের ওপর হামলা হয়েছিল।
খুনের ঘটনায় জড়িত অপর ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকা। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। বিজেপি যুব নেতা খুনে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক জলঘোলা। পরিবারের সদস্যরা এখও পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
প্রসঙ্গত, রবিবার বাড়ির সামনেই বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ওই নেতাকে। তাঁর পেটে একাধিক গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মিঠুন ঘোষ নামে বছর বত্রিশের ওই বিজেপি যুব নেতার বাড়ি ইটাহারের রাজগ্রামে। ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ সরকার। প্রদীপ সরকার বলেন, “আমাদের যুব মোর্চার জেলার সহ সভাপতি মিঠুন ঘোষ। ইটাহার বিধানসভার রাজগ্রামে তার বাড়ি। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে মোটর বাইকটা রেখে বেরোয়। তখন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী কাশেম আলি ওর উপর বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। ওর পেটে গুলি করে। মিঠুন আমাদের মধ্যে আর নেই।”
তবে মিঠুন ঘোষের ওপর এর আগেও একবার হামলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এবিভিপির মনোনয়ন দাখিল করতে ইটাহার কলেজে যাওয়ার সময় আমাকে ও মিঠুন ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। মিঠুন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার। সেসময় তাঁর পায়ে গুলি লাগে। সে সময় বরাত জোরে পার পেয়ে যান তিনি। কিন্তু কেন বারবার মিঠুনকেই টার্গেট করা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা