Kalna: পুলিশ লেখা গাড়ি নিয়ে ‘তোলা’ তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনা, ট্রাক্টর চালকের মৃত্যুতে ধুন্ধুমার কালনায়

পুলিশ লেখা গাড়িতে করে আসা সাদা পোশাকে থাকা চারজন তোলা তুলতে যাওয়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। যদিও 'তোলা' তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে কালনা পুলিশ।

Kalna: পুলিশ লেখা গাড়ি নিয়ে 'তোলা' তুলতে গিয়ে দুর্ঘটনা, ট্রাক্টর চালকের মৃত্যুতে ধুন্ধুমার কালনায়
কালনা থানার সামনে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 04, 2022 | 12:05 AM

কালনা: পুলিশ লেখা গাড়ি করে তোলা তোলার সময় ট্রাক্টর নিয়ে পালাতে গিয়ে মৃত্যু হল চালকের। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধল পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। পুলিশের গাড়ি নিয়ে যে তোলা তুলছিল, তার শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ট্রাক্টর চালকের নাম আলন শেখ (৪০)। কালনার সাতগাছিয়ার বাসিন্দা লালন শেখের ট্রাক্টরের চাকায় লুঙ্গি জড়িয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট লাগে এবং তার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ লেখা গাড়িতে করে আসা সাদা পোশাকে থাকা চারজন তোলা তুলতে যাওয়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘তোলা’ তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত তাপস সরকার থেকে স্থানীয় বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকাল ৪টে নাগাদ কালনার সাতগাছিয়ার কুন্ডু ভাটার ঘাট এলাকা থেকে ট্রাক্টরে মাটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আলন শেখ। সেই সময় পুলিশ লেখা গাড়ি নিয়ে সাদা পোশাকে চারজন ট্রাক্টর দাঁড় করাতে চান বলে অভিযোগ। টাকা দেওয়া এড়াতে আলন শেখ ট্রাক্টর নিয়ে পালাতে যান। তখনই অসাবধানতা বশত ট্রাক্টরের চাকায় লুঙ্গি জড়িয়ে ট্রাক্টর থেকে পড়ে যান আলন এবং তাঁর মাথার উপর দিয়ে ট্রাক্টরের চাকা চলে গিয়ে তিনি মারাত্মক জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু, হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় আলন শেখের।

এরপরই আলন শেখের মৃতদেহ নিয়ে SDPO অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তোলা তোলার ফলেই আলন শেখের মৃত্যু হল। অভিযুক্তদের অবিলম্বে শাস্তি দিয়ে আলন শেখের পরিবারের পাশে থাকারও দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারী হামিদ শেখ বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল আলন শেখ। তার ছেলেকে চাকরি দেওয়া এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। খবর পেয়েই বিক্ষোভস্থলে যান কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। তারপর SDPO সহ বিধায়ক, প্রধান বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এবং আলন শেখের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন। বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, “আগামী দিনে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সকলকে অনুরোধ করলাম। প্রশাসনকে মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। আপাতত ওর পরিবারের এক সদস্যকে কোনও একটা কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আমরা ওর পাশে আছি, থাকব।”