Nadia Suicide: অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে বিয়ে দেয়নি পরিবার, সহমরণে যুগল
Nadia Suicide: একজন তেহট্টের বাসিন্দা এবং অন্যজনের বাড়ি দেবনাথপুরে। প্রথম জন নাতনা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সজল মণ্ডল এবং তার প্রেমিকা বিজয়া বিশ্বাস।
নদিয়া: দু’জনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাই বিয়ে দেবে না বলেছিল উভয়ের পরিবার। এখন উপায় কী? আলোচনায় চরম পথই একমাত্রই খোলা রাস্তা হিসাবে দেখল যুগল। বেছে নিল সহমরণের পথ। সাতসকালে তাদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল এলাকার একটি গাছের ডাল থেকে। নদিয়ার করিমপুর থানা এলাকার মহিষবাথানে।
একজন তেহট্টের বাসিন্দা এবং অন্যজনের বাড়ি দেবনাথপুরে। প্রথম জন নাতনা উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সজল মণ্ডল এবং তার প্রেমিকা বিজয়া বিশ্বাস। সে দেবনাথ পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া। বেশ কিছু মাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়লে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সুজয় এবং বিজয়া দুজনেই বিষয়টি পরিবারকে জানায়। কিন্তু উভয়েই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাই পত্রপাঠ না বলে দেয় পরিবার ও পরিজনরা। তাই শেষমেশ সহমরণের পথ বেছে নেয় তারা। মহিষবাথানের একটি গাছ থেকে তাদের জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে করিমপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে তেহট্ট এলাকায়।
দু’পক্ষের পরিবারের দাবি, নাবালকদের বিয়ে দিলে আইনি সমস্যা হতে পারে এই আশঙ্কা ছিল। তাই তারা রাজি হতে পারেননি। একে অপরকে তারা ছেড়ে থাকতেও রাজি ছিল না। পরিবারের কাছে কার্যত জেদ ধরে বসে তারা। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তাদের গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মহিষবাথানের একটি আমগাছ থেকে ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করেছে তেহট্ট থানার পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে গোটা ঘটনাটি।