AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভেনেজুয়েলার পাশে ঘুরঘুর করছে মার্কিন বোমারু বিমান, কী ফন্দি ট্রাম্পের?

Venezuela: সাম্প্রতিক সময়ে দু'বার বি-৫২ বোমারু বিমান ছাড়াও দু'বার বি-১বি মার্কিন বোমারু বিমান-ও ভেনেজুয়েলার খুব কাছে আকাশপথে টহল দেয়। এছাড়াও পুয়ের্তো রিকো-তে মোতায়েন রয়েছে মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান-ও। সবমিলিয়ে ক্যারেবিয়ানে এই মুহূর্তে অন্তত ৬টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অপেক্ষা করছে ট্রাম্পের চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষায়।

ভেনেজুয়েলার পাশে ঘুরঘুর করছে মার্কিন বোমারু বিমান, কী ফন্দি ট্রাম্পের?
মার্কিন যুদ্ধবিমান।Image Credit: X
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2025 | 4:59 PM
Share

ওয়াশিংটন: ভেনেজুয়েলার খুব কাছে পৌঁছে গেল মার্কিন বি-৫২ স্ট্র্যাটেজিক বোমারু বিমান। তাও আবার একটা নয়, একজোড়া। ভেনেজুয়েলার জলসীমান্তের কাছে আকাশে মার্কিন বোমারু বিমানের উড়ান দেখে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আবার কি একটা যুদ্ধ দেখতে চলেছে বিশ্ব? এই নিয়ে চতুর্থবার ভেনেজুয়েলার খুব কাছে পৌঁছে গিয়ে তাদের শক্তি জাহির করল মার্কিন বায়ুসেনা। মার্কিন যুদ্ধবিমান দেখে তড়িঘড়ি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে ভেনেজুয়েলা-ও। অ্যালার্ট মোডে তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

সাম্প্রতিক সময়ে দু’বার বি-৫২ বোমারু বিমান ছাড়াও দু’বার বি-১বি মার্কিন বোমারু বিমান-ও ভেনেজুয়েলার খুব কাছে আকাশপথে টহল দেয়। এছাড়াও পুয়ের্তো রিকো-তে মোতায়েন রয়েছে মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান-ও। সবমিলিয়ে ক্যারেবিয়ানে এই মুহূর্তে অন্তত ৬টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অপেক্ষা করছে ট্রাম্পের চূড়ান্ত নির্দেশের অপেক্ষায়।

ট্রাম্পের দাবি, ভেনেজুয়েলার ড্রাগ মাফিয়ারাই তাঁর টার্গেট। ড্রাগ পাচারের অভিযোগে অন্তত ১৭ বার ভেনেজুয়েলার পণ্যবাহী নৌকায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক হামলায় ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মার্কিন সেনার দাবি।

যদিও ড্রাগের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযানের দাবির সত্যতা মানতে নারাজ প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরাই। তাঁর দাবি, ট্রাম্পের নজর ভেনেজুয়েলার তেল-এর ভাণ্ডারে। তাঁর আরও দাবি, তখ্ত পাল্টাতেই ট্রাম্প যুদ্ধে লাগামছাড়া প্ররোচনা দিচ্ছেন। মাদুরাই আবার মস্কোর কাছে সাহায্যের জন্য হাত পেতেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সবরকমভাবে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রুশ যুদ্ধবিমান সুখোই, আধুনিক র‌্যাডার ও মিসাইল সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। কারাকাসের খুব কাছে ওয়াশিংটনের সামরিক প্রস্তুতিকে ভাল চোখে দেখছেন না পুতিন-ও। সবমিলিয়ে মস্কোর প্রতিক্রিয়া ও ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ লাতিন আমেরিকার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও স্থিতিশীলতার উপর কী প্রভাব ফেলে- সেদিকেই এখন তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।