Nobel Prize For Literature: ‘স্মৃতির শিকড়ের সাহসী উন্মোচন’, সাহিত্যে নোবেল জিতলেন অ্যানি এনৌ
2022 Nobel Prize For Literature: ২০২২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হল ফরাসি লেখিকা অ্যানি এনৌ-কে।
স্টকহোম: ২০২২ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হল অ্যানি এনৌ-কে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) স্টকহোমের সুইডিশ আকাদেমির পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। তারা বলেছে, “যে সাহস এবং নিখুঁত তীক্ষ্ণতার মাধ্যমে তিনি ব্যক্তিগত স্মৃতির শিকড়, বিচ্ছিন্নতা এবং সংযমের কথা উন্মোচন করেন”, তার জন্য়ই সম্মানিত করা হল এই ফরাসি লেখিকাকে। শ্রেণী এবং লিঙ্গের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সহজ ভাষায় উপন্যাস রচনার জন্য পরিচিত এনৌ। অন্তত ৩০টিরও উপন্যাস রচনা করেছেন তিনি, অধিকাংশই আত্মজীবনীমূলক।
১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর প্রথম আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস, ‘লেস আরমোইরেস ভিদেস’ (Les Armoires vides)। এর দশ বছর পর, ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর দ্বিতীয় আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ‘লা প্লাস’ (La Place)। এই উপন্যাসের জন্য তিনি রেনোদো পুরস্কার জিতেছিলেন। সাহিত্যজীবনের একেবারে শুরু থেকেই তিনি কথাসাহিত্য থেকে সরে এসেছিলেন আত্মজীবনীমূলক রচনায়। ঐতিহাসিক এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা একত্রিত করে রচনা করা শুরু করেন একের পর এক আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস।
BREAKING NEWS: The 2022 #NobelPrize in Literature is awarded to the French author Annie Ernaux “for the courage and clinical acuity with which she uncovers the roots, estrangements and collective restraints of personal memory.” pic.twitter.com/D9yAvki1LL
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 6, 2022
‘লা প্লাস’ ছিল বাবার সাথে তাঁর সম্পর্ক এবং ফ্রান্সের এক ছোট শহরে বড় হয়ে ওঠা এবং যৌবনে বাবা-মায়ের থেকে দূরে সরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বিষয়ে। এছাড়া, তাঁর কিশোর বয়স, তাঁর বিয়ে, এক পূর্ব ইউরোপীয় পুরুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক, তাঁর গর্ভপাত, আলঝাইমার রোগ, মায়ের মৃত্যু, তাঁর স্তন ক্যান্সারের মতো বিষয়কে তিনি নিজের লেখার বিষয় করেছেন।
২০০৮ সালে ঐতিহাসিক স্মৃতিকথা নিয়ে তিনি লিখেছিলেন ‘লেস অ্যানিস’। সাহিত্য সমালোচকদের একাংশের মতে এটিই তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা। অথচ সারা জীবন আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস লেখা এনৌ, এই উপন্যাসে প্রথমবার নিজেকে প্রথম পুরুষে উল্লেখ করেন। ‘আমি-আমি’ করে লেখার পরিবর্তে ‘তিনি’ করে লেখেন। এই উপন্যাসে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের বিংশ শতাব্দীর ফরাসি সমাজের চেহারা তুলে ধরেছিলেন এক মহিলার গল্পের মধ্য দিয়ে। এই উপন্যাস অনেকগুলি পুরস্কার জিতেছিল।য ফ্রান্স ও ইউরোপের বিভিন্ন সাহিত্য পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি ২০১৮ সালে তিনি হেমিংওয়ে পুরস্কার জিতেছিলেন, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারও পেয়েছিলেন।
২০২১ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তানজানিয়ায় জন্মগ্রহণকারী যুক্তরাজ্যের লেখক আবদুলরাজাক গুরনাহ। তার আগের বছর নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন মার্কিন কবি লুইস গ্লাক। গত সোমবার নোবেল পুরষ্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা শুরু হয়েছিল। চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার পেয়েছেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সোয়ান্তে পাবো, পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন জন এফ. ক্লজার এবং অ্যান্টন জেইলিঙ্গার, রসায়নে যৌথভাবে ক্যারোলিন আর. বার্তোজি, কে. ব্যারি শার্পলেস এবং মর্টেন মেলডাল। শান্তি ও অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হবে যথাক্রমে শুক্রবার এবং সোমবার।