Afghanistan Crisis : মহিলাদের প্রতি সহনশীল না হলে তালিবানকে কোনও স্বীকৃতি নয়, কড়া বার্তা কৈলাস সত্যার্থীর

Women Rights Violated under Taliban rule: কৈলাস সত্যার্থীর মতে, শিশুদের বিশেষ করে মেয়েদের যদি সমান তালে শিক্ষা না দেওয়া হয়, তাহলে তারা সারা জীবনের জন্য শোষণের শিকার হবে। তাদের উপর অবিচার এবং অত্যাচার আরও বাড়বে।

Afghanistan Crisis : মহিলাদের প্রতি সহনশীল না হলে তালিবানকে কোনও স্বীকৃতি নয়, কড়া বার্তা কৈলাস সত্যার্থীর
আফগান মেয়েদের অধিকার নিয়ে চিন্তিত নোবেলজয়ী কৈলাস সত্যার্থী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2021 | 11:40 PM

নয়াদিল্লি : তালিবানের নতুন সরকারকে (Acting Taliban Government) আন্তর্জাতিক সাহায্য এবং স্বীকৃতি পেলে হলে আরও সহনশীল নীতি গ্রহণ করতে হবে। তালিবানের কাছে এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া উচিত। এমনটাই মনে করছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী কৈলাস সত্যার্থী (Nobel Laureate Kailash Satyarthi)।

নোবেল জয়ী ভারতীয় সমাজকর্মীকে এখন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (UNSDG)-র ১৭ জন বিশেষ প্রতিনিধির মধ্যে একজন হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার সরব হন কৈলাস সত্যার্থী। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যাতে এই মাসে আফগানিস্তানের অন্যান্য ইস্যুগুলি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সে দেশের শিশুদের অবস্থা নিয়েও আলোচনা করা হয়।

কৈলাস সত্যার্থীর মতে, শিশুদের বিশেষ করে মেয়েদের যদি সমান তালে শিক্ষা না দেওয়া হয়, তাহলে তারা সারা জীবনের জন্য শোষণের শিকার হবে। তাদের উপর অবিচার এবং অত্যাচার আরও বাড়বে।

উল্লেখ্য গত শনিবারই তালিবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছিল, তারা স্কুল খুলে দেবে। কিন্তু শুধুমাত্র ছেলে পড়ুয়ারা এবং পুরুষ শিক্ষকরাই স্কুলে ঢোকার অনুমতি পাবে। আর এর পর থেকে আন্তর্জাতিক মহলের একটি বড় অংশ আশঙ্কা করছে, আফগানিস্তানের ছোট ছোট মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আদৌ কি তারা আর স্কুল মুখো হতে পারবে? নাকি অজ্ঞানতার অন্ধকারে ডুবে যেতে হবে, নতুন প্রজন্মের আফগান মেয়েদের? মহিলা শিক্ষকদেরই বা কী হবে? এমনই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আর এরই মধ্যে নোবেল জয়ী সমাজকর্মী কৈলাস সত্যার্থী প্রশ্ন তোলেন, “বর্তমান তালিবান সরকার, যদি তারা সত্যি সত্যিই ক্ষমতায় থাকে, তাহলে সবার থেকে আলাদা হয়ে থাকতে পারবে না। তাদেরও আর্থিক সাহায্য লাগবে। রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সমর্থন লাগবে। বিশ্বের অনেকগুলি দেশের থেকে স্বীকৃতি পেতে হবে তাদের সরকারকে। আমি আশা করব, তারা ছোট মেয়েদের প্রতি এবং মহিলাদের প্রতি আরও বেশি সহনশীল হবে। একমাত্র তাহলেই আন্তর্জাতিক মহল তাদের সাহায্যের হাত বাড়াবে।”

পূর্বের তালিবান সরকারের শাসনকালে মহিলাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিস্তর অভিযোগ ছিল। শরিয়া আইনের দোহাই দিয়ে নারীদের যাবতীয় অধিকার কেড়ে নিয়েছিল তালিবানরা। তারপর দীর্ঘ দু’দশক ধরে ধাপে ধাপে উন্নতি হতে থাকে আফগান মহিলাদের। দেশ শাসনের রাশ পুনরায় তালিবানের হাতে চলে আসায়, আগের পরিণতির কথা মাথায় রেখে শিউরে উঠছেন আফগানরা।

দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলের পর ইতিমধ্যেই মহিলাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে তালিব সেনার বিরুদ্ধে। দেশ দখলের সময় অবিবাহিত আফগান মেয়েদের বলপূর্বক বিবাহ করা নানা ঘটনা সামনে এসেছে বারবার। সম্প্রতি মহিলাদের এক শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর নির্মম আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন  : Afghanistan crisis: শীঘ্রই খুলবে ছেলেদের স্কুল, মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিয়ে নীরব তালিবান