Australia whales: ‘নরকের দ্বারে’ ঢুকে আটকে গেল শয়ে শয়ে তিমি, উদ্ধার অভিযান নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন

Whales stranded in Tasmania: তাসমানিয়া উপকূলের ম্যাককুয়ারি হারবারকে বলা হয় 'নরকের দ্বার'। সেখানে ঢুকেই আটকে গেল শয়ে শয়ে তিমি।

Australia whales: 'নরকের দ্বারে' ঢুকে আটকে গেল শয়ে শয়ে তিমি, উদ্ধার অভিযান নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন
তাসমানিয়া উপকূলে আটকে শয়ে শয়ে তিমি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2022 | 8:01 PM

ক্যানবেরা: উপকূলে আটকে আছে শয়ে শয়ে তিমি। গত সোমবারই অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের কাছে এক দ্বীপে আটকে পড়েছিল ১৪টি স্পার্ম তিমি। এবার, তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলে অন্তত ২৩০টি তিমি মাছ আটকে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাসমানিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ বিভাগ জানিয়েছে, তাসমানিয়া উপকূলের ম্যাককুয়ারি হারবারের সৈকতে আটকে পড়েছে তিমিগুলি। এগুলি পাইলট তিমি। তাদের মধ্যে অন্তত অর্ধেক সংখ্যক এখনও জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। তারা আরও জানিয়েছে, সামুদ্রিক সংরক্ষণ কর্মসূচির একটি দল তিমি উদ্ধারকারী সরঞ্জাম নিয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

ম্যাককুয়ারি হারবারের প্রবেশদ্বার অত্যন্ত অগভীর এবং এতটাই বিপজ্জনক যে এটি ‘হেলস গেট’ বা ‘নরকের দ্বার’ বলে পরিচিত। এই একই হারবারে দুই বছর আগে প্রায় ৪৭০টি বড় পাখনাযুক্ত পাইলট তিমি আটকে পড়েছিল। এক সপ্তাহ ধরে তাদের উদ্ধারকাজ চলেছিল। অধিকাংশ তিমিরই মৃত্যু ঘটেছিল, তবে শেষ পর্যন্ত ১১১টি তিমিকে উদ্ধার করা গিয়েছিল। তবে, সেই বারের তুলনায় এবার উদ্ধারকাজের চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ২০২০ তিমিগুলি ছিল বন্দরে। সেখানকার জল ছিল শান্ত, নৌকা নিয়ে তাদের কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব হয়েছিল। ফলে উদ্ধার করাও সহজ হয়েছিল। তবে, এবার তিমিগুলি আটকে গিয়েছে সৈকতে। সেখানকার সমুদ্র অগভীর এবং অত্যন্ত রুক্ষ। তাই, তাদের গাড়িতে তুলে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আটকে পড়া তিমিগুলি পাইলট তিমি, অনেকগুলির ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে

কিন্তু কেন তিমিগুলি আটকে পড়ল? সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কেন এবং কীভাবে এই তিমিগুলি সমুদ্র উপকূলে আটকে পড়েছে, তার ব্যাখ্যা এখনই দেওয়া যাবে না। একই প্রজাতির তিমিরা বছরের একই সময়ে, একই স্থানে বারবার আটকে যাচ্ছে। এর থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, এর পিছনে পরিবেশগত কিছু কারণ থাকতে পারে। এদিকে, তাসমানিয়ার পশ্চিন উপকূলের পৌরসভার পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপকূল এলাকায় না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাসমানিয়ার পরিবেশ বিভাগ বলেছে, “তিমি একটি সংরক্ষিত প্রজাতি। এমনকি, মারা যাওয়ার পর তাদের মৃতদেহে হস্তক্ষেপ করাও অপরাধ।”