Joe Biden-Kamala Harris Rift: জো বাইডেন আর কমলা হ্যারিসের সম্পর্কে ফাটল, হারাতে হতে পারে উপ রাষ্ট্রপতির পদ

Joe Biden-Kamala Harris Rift:এই মুহূর্তে কমলা হ্যারিস এতটাই দুর্বল পরিস্থিতি রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে যে ওয়াশিংটনের ভেতরে আর বাইরে ডেমোক্রেট দলের শীর্ষ নেতারাও ব্যক্তিগত স্তরে নানা অনুমান করা শুরু করে দিয়েছেন।

Joe Biden-Kamala Harris Rift: জো বাইডেন আর কমলা হ্যারিসের সম্পর্কে ফাটল, হারাতে হতে পারে উপ রাষ্ট্রপতির পদ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2021 | 6:22 PM

ওয়াশিংটন: জোরদার গুজব ছড়িয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন আর উপ রাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের সম্পর্কে ফাটল ধরার। এটাও আলোচনা হচ্ছে যে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি একজন নতুন উপ রাষ্ট্রপতির নির্বাচন করার এবং কমলাকে পেছনের দরজা দিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে পাঠানো নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন। মিডিয়া রিপোর্টেও হোয়াইট হাউসে চলা এই টানাপোড়েনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সিএনএন একটি চমকে দেওয়ার মতো রিপোর্টে দাবি করেছে যে, ওয়েস্ট উইংয়ের প্রধান কর্মচারীরা উপর উপর উপ রাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস এবং তাঁর সহযোগীদের নির্দেশে মনোযোগ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের এমনটা করার কারণ হিসেবে সময়ের অভাব দেখানো হচ্ছে।, বিশেষভাবে এমন সময়ে যখন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনকে দ্রুতগতিতে বিধানসভা এবং রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার মুখোমুখী হতে হচ্ছে।

কমলা হ্যারিসের প্রায় তিন ডজন প্রাক্তন আর বর্তমান সহযোগী, প্রশাসনের আধিকারিক, ডেমোক্রেটিক নেচা, ডোনার আর বাইরের পরামর্শদাতাদের ইন্টারভিউতে হোয়াইট হাউসের ভেতরে এক জটিল বাস্তবকে প্রকাশ করেছে। উপ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সম্পর্কিত বেশকিছু মানুষ এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ যে তাদের পর্যাপ্তভাবে প্রস্তুত আর মোতায়েন করা হচ্ছে না। আর এই কারণে তাদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস স্বয়ং বেশ কয়েকবার বলেছেন যে, তিনি রাজনৈতিকভাবে যা করতে সক্ষম, তাতে তিনি অসহায় অনুভব করেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে হোয়াইট হাউসে কী চলছে?

বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমছে

জো বাইডেনকে প্রথম সাত মাসে নিজের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে কোনও সমস্যার মুখোমুখী হতে হয়নি। তিনি বারাক ওবামার শুরুর ৬০ শতাংশ স্তর পর্যন্তও এর ফায়দা তুলতে পারেননি। কিন্তু তিনি এই ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্র্যাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। প্রথমে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বাইডেনের তরফে নেওয়া পদক্ষেপকে মানুষ প্রশংসা করেছেন আর তারপর হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণে বৃদ্ধি, আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া, খারাপ অর্থব্যবস্থা তাকে লোকসানের দিকে নিয়ে গিয়েছে।

এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে সিএনএন-এর তরফে হওয়া সমীক্ষা অনুযায়ী তাঁর সর্বাধিক অ্যাপ্রুভালের অভাব হয়েছে ডেমোক্রেটস আর ডেমোক্রেটসের নেতৃত্বাধীন নির্দলীয়দের তরফে। পুরনো সমর্থকদের বিশ্বাস ফিরে পাওয়া তাদের জেতার চেয়েও কঠিন হয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট অ্যাপ্রুভাল রেটিং বাড়ার তুলনায় খুব সহজেই কমে যায়।

সংঘর্ষ করছেন কমলা হ্যারিস

কমলা হ্যারিসকে হোয়াইট হাউসের কিছু অংশের সঙ্গে কঠিন সম্পর্কের কারণে সংঘর্ষ করতে হচ্ছে, অন্যদিকে তাঁর সমর্থরা দীর্ঘদিন ধরেই উপেক্ষিত অনুভব করছেন। এবং উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি যা করেছেন বা করার চেষ্টা করেছেন, সে ব্যাপারে কোনও সুসঙ্গত সার্বজনিক ব্যাখ্যা নেই। ন্যাশনাল ইলেক্টেট অফিসে প্রথম মহিলা হওয়া ঐতিহাসিক ঘটনা, কিন্তু ছোটখাটো ভুলের জন্য কোনও ক্ষমা নেই, যেটা তিনি বারবারই ইঙ্গিত করে থাকেন।

এই মুহূর্তে কমলা হ্যারিস এতটাই দুর্বল পরিস্থিতি রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে যে ওয়াশিংটনের ভেতরে আর বাইরে ডেমোক্রেট দলের শীর্ষ নেতারাও ব্যক্তিগত স্তরে নানা অনুমান করা শুরু করে দিয়েছেন। তারা একে অপরকেই প্রশ্ন করছেন যে,হোয়াইট হাউজ তাঁকে জনগনের মন বুঝতে এতটা প্যাশনেট কেনও হতে দিল।

বাইডেনের এক টপ ডোনার বলেছেন, ‘ কমলা হ্যারিস একজন নেতা, কিন্তু তাঁকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পদে রাখা হচ্ছে না। এর কোনও মানে নেই। আমাদের দীর্ঘকালীন ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে, আর আজ আমাদের সেটাই করার প্রয়োজন রয়েছে যা পার্টির জন্য সবচেয়ে ভাল। ওঁর উপর চাপ দেওয়ার বদলে ওঁকে সফল হওয়ার পরিস্থিতিতে রাখা উচিৎ। যদি আপনি ওঁকে এগিয়ে যাওয়ার আর নেতৃত্বে সাহায্য করার ক্ষমতা দেন, তো সেটা আপনাকে শক্তিশালী করবে আর পার্টিকে শক্তিশালী করবে।’

একটি বিষয়ে হ্যারিসকে বাস্তবে ভোট দেওয়াক অধিকারের জন্য বলা হয়েছিল। এর প্রগতি ধীরগতির ছিল, কারণ বাইডেন নিজের ডোমেস্টিক এজেন্ডা পাশ করার দিকে মনোযোগী রয়েছেন। যতই হ্যারিস ব্যাক্তিগত স্তরে বলুক যে, যদি বাস্তবিক প্রগতি হাসিল করা যেতে পারে, তাহলে ফাইলবাস্টারকে আবারও বাড়ানো উচিৎ। বাইডেনও এখন সার্বজনিকভাবেও সেটুকুই বলেছেন। তবে হ্যারিসের নিজের বিশ্বাসীদের জানিয়েছেন যে তিনি সোজাসুজি বাইডেনের সঙ্গে কাজের গতিশীলতার আনন্দ উপভোগ করছেন।

আরও পড়ুন: Imran Khan Vs Army: পাকিস্তানে বাড়ল সরকার আর সেনাবাহিনীর মধ্যে দূরত্ব, টলোমলো ইমরান খানের পদ