Cholera Spread in Mariupol: রাস্তার ধারেই পচছে দেহ, জলপানও দুষ্কর! রুশ সেনার ষড়যন্ত্রে ‘জনশূন্য’ হতে পারে মারিউপোল…

Cholera Spread in Mariupol: রুশ সেনার নৃশংস রূপ তুলে ধরতে গিয়ে মেয়র জানান, যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের মৃতদেহ কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে পচা-গলা দেহ থেকে জলও সংক্রমিত হয়ে পড়ছে। যারা ওই জল খাচ্ছেন, তারাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

Cholera Spread in Mariupol: রাস্তার ধারেই পচছে দেহ, জলপানও দুষ্কর! রুশ সেনার ষড়যন্ত্রে 'জনশূন্য' হতে পারে মারিউপোল...
ভয়ঙ্কর অবস্থা মারিউপোলে। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 11, 2022 | 5:59 PM

কিয়েভ: অস্ত্র ভান্ডার ফুরিয়ে আসছে, নেই ওষুধও। পশ্চিমী দেশগুলি যাতে দ্রুত অস্ত্র ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে সাহায্য করে, তার আর্জি জানাল ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার ১০০ দিন পার হয়ে গিয়েছে। যত সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে, ততই খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে ইউক্রেনের পরিস্থিতি। শুধুমাত্র গোলাগুলি বর্ষণই নয়, এবার ইউক্রেনের শহরে ছড়িয়ে পড়ছে মারণ রোগও। সেখানে দেখা গিয়েছে কলেরার প্রাদুর্ভাব।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার অন্যতম নিশানা ছিল ইউক্রেনের পশ্চিমে অবস্থিত বন্দর শহর মারিউপোল। লাগাতার প্রায় দুই মাস ধরে হামলা চালানোর জেরে বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ওই শহর। বাড়িঘর বলতে আর কিছুই নেই। রাস্তাঘাটেই দিন-রাত কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে রুশ সেনার গোলা বর্ষণের জেরে কমপক্ষে কয়েকশো মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে। সেই মৃতদেহ সরানোর কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি। রাস্তার ধারেই পড়ে পচছে সেই দেহগুলি।

পচাগলা দেহ থেকে যে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে এবং মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে, তা থেকেই বিভিন্ন সংক্রামক রোগও ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই আমাশয় ও কলেরার মতো রোগ দেখা দিয়েছে। মারিউপোলের মেয়র ভাদিম বইচেনকো বলেন, “শহরে আমাশয় ও কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে। ২০ হাজার বাসিন্দার এই শহরের উপরে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সংক্রমণগুলি ছড়িয়ে পড়ায় আরও হাজার হাজার মারিউপোলবাসীর প্রাণ যেতে পারে।”

রুশ সেনার নৃশংস রূপ তুলে ধরতে গিয়ে মেয়র জানান, যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের মৃতদেহ কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে পচা-গলা দেহ থেকে জলও সংক্রমিত হয়ে পড়ছে। যারা ওই জল খাচ্ছেন, তারাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

রুশ সেনার সামরিক অভিযান শুরুর পরই মানবিক করিডর তৈরি করে শহরবাসীদের উদ্ধার করে আনা হয়েছিল। যারা শহর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেননি, এবার তাদেরও উদ্ধার করে আনার জন্য রেড ক্রস সোস্যাইটির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।