Bangladesh: অপহরণে অভিযুক্ত পুলিশইকর্মীরাই! সোনা উদ্ধারে ভাড়া করেছিল দুবাইয়ের ব্যবসায়ী
Bangladesh Police : পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধেই উঠল অপহরণ ও ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ! দুবাইবাসী এক ব্যবসায়ীর নির্দেশে তারা এই কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
নয়া দিল্লি: পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধেই উঠল অপহরণ ও ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ! দুবাইবাসী এক ব্যবসায়ীর নির্দেশে তারা এই কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত চার পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ঢাকায়। দিনকয়েক আগে মাহবুব আলি খান নামে বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগের এক নেতাকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকেই তুলে নিয়ে গিয়েছিল কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। মাহবুবকে নির্যাতন করে, তিন লক্ষ টাকা আদায় করে তারা। এরপর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাকে কারাবন্দি করা হয়েছিল। তিনি কারাগার থেকে বের হওয়ার পরই, পুলিশের অপহরণের এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওমর ফারুক নামে এক দুবাইয়ের এক ব্যক্তির সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে পরিচয় হয়েছিল মাহবুব আলি খানের। সেই পরিচয়ের সূত্রে গত অক্টোবরে মাহবুবকে ফোন করে ফারুক জানিয়েছিলেন, সৌদি আরব থেকে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের সোনায় গয়না-সহ বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র পাঠাবেন। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সেগুলি গ্রহণ করার অনুরোধ করেছিলেন মাহবুবকে। ওমর ফারুকের পাঠানো জিনিসপত্র আনার জন্য পাড়ারই এক যুবককে বিমানবন্দরে পাঠিয়েছিলেন মাহবুব। বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে ঢাকার বনানী এলাকায় সোনার গয়না ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল।
ফারুককে, মাহবুব ওই ছিনতাইয়ের ঘটনা জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তা মেনে নিতে পারেননি দুবাইয়ের ওই ব্যক্তি। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র খুইয়েছিলেন তিনি। তিনি ধরে নিয়েছিলেন, মাহবুবই সেগুলি আত্মসাৎ করেছেন। এরপর ফারুক জুবায়ের নামে ঢাকার আরেক ব্যক্তিকে মাহবুবের কাছ থেকে ওই টাকা আদায় করার দায়িত্ব দেন। এই জুবায়ের সঙ্গে পুলিশকর্মী নাজমুল হোসেনের পরিচয় ছিল। মাহবুবের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের বিষয়ে নাজমুলের সঙ্গে চুক্তি করেছিল জুবায়ের। টাকা উদ্ধার করতে পারলে তার একটা অংশ নাজমুল পাবেন বলে ঠিক হয়েছিল। এরপর গত ১ নভেম্বর, পুলিশের অপরাধ দমন শাখার আরও তিন কর্মী-সহ ১০-১২ জন মিলে অপহরণ করেছিল মাহবুবকে।
জানা গিয়েছে, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। সেই সময়ই মাহবুবকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এক নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ওই রাতে তিনি একটি এটিএম থেকে ১ লক্ষ ১৮ হাজার তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু মুক্তি পাননি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অপরাধ দমন শাখার প্রধান কার্যালয়ে। পরের দিন তাঁকে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে আত্মীয়-স্বজনদের ফোন করানো হয়। ফোন ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে আরও ২ লক্ষ টাকা আদায় করে তারা। এরপরই এক জাল সার্টিফিকেট চক্রের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।