Bangladeshi Man Death: জেল পালিয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমান, সেখান থেকে হরিদেবপুরে অর্পিতার সঙ্গে ঘর-বাঁধা, ম্যাক্সনের অতীত চমকে ওঠার মতো

Bangladeshi Man Death: ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ম্যাক্সন পরিচয় গোপন করে ওমানে পালিয়ে যায়। সেখান থেকেই ফের পরিচয় বদল করে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে আসে সে।

Bangladeshi Man Death: জেল পালিয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমান, সেখান থেকে হরিদেবপুরে অর্পিতার সঙ্গে ঘর-বাঁধা, ম্যাক্সনের অতীত চমকে ওঠার মতো
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2022 | 6:38 AM

ঢাকা: মঙ্গলবার রাতে হরিদেবপুর থানায় ফোন এসেছিল এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারের। আবাসনের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তমাল রায়চৌধুরী নামে ওই যুবকের দেহ। অন্তত প্রতিবেশীরা তাঁকে এই নামেই চিনতেন। তবে পুলিশ তদন্তে নেমেই জানতে পারে, ওই যুবকের আসল পরিচয় নূর উন লতিফ নবি ওরফে ম্যাক্সন। বাংলাদেশি ওই যুবককে বাইরে থেকে দেখে নিপাট ভদ্রলোক বলে সকলে মনে করলেও, আদতে ম্যাক্সন দাগী অপরাধী। একাধিক খুনের মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, যাবজ্জীবনের সাজাও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছিল ম্যাক্সন। এখানে এসে মাছের ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি। প্রতিবেশীরা কেউ ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি ম্যাক্সনের অপরাধের ইতিহাস।

বরানগরের নর্দান পার্কের একটি আবাসনের বাসিন্দা ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক নূর উন লতিফ নবি, তবে সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন তমাল রায়চৌধুরী নামেই। অর্পিতা নামে এক মহিলার সঙ্গে সেখানে থাকতেন তিনি। তাঁকেই তমালের স্ত্রী বলে চিনতেন সবাই। স্ত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হত, এর বেশি সন্দেহজনক কোনও কাজ করতেই কেউ দেখেননি তমালকে। মাছের ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি।

বুধবার কলকাতা পুলিশের তরফে ম্যাক্সনের ভাই আখতার হোসেনকে খবর দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম পুলিশের তরফে তাদের মৃতদেহের ছবি দেখানো হয়। সেই ছবি দেখেই দেহ শনাক্ত করেন আখতার। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন নেতা সাজ্জাদ হোসেন খানের অন্যতম সহযোগী ছিলেন ম্যাক্সন (৪০)। ২০০০ সালে চট্টগ্রাতে বাংলাদেশি ছাত্র লিগের আট নেতাকে খুনের অভিযোগে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল সাজ্জাদকে। ওই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি ছিল ম্যাক্সন ও সাজ্জাদের আরেক সহকারী সর্বরের নামে।

ম্যাক্সনের নামেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বেআইনি অস্ত্র রাখা ও তোলাবাজির অভিযোগে ম্যাক্সনের নামে কমপক্ষে ২২টি মামলা রয়েছে। একাধিকবার তাঁকে জেলেও যেতে হয়েছে। ২০১১ সালে পুলিশ একাধিক বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অপরাধেও গ্রেফতার করে ম্যাক্সনকে।

বাংলাদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ম্যাক্সন পরিচয় গোপন করে ওমানে পালিয়ে যায়। সেখান থেকেই ফের পরিচয় বদল করে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে আসে সে। ম্যাক্সনের স্ত্রী ও পরিবার বাংলাদেশেই থাকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেআইনি কাগজপত্র দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গে থাকার অভিযোগেই সিআইডি ও বিধাননগর পুলিশ ম্যাক্সনকে গ্রেফতার করে। সেই সময় বাংলাদেশ পুলিশকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছিল।

ম্যাক্সনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবারই ম্যাক্সনের সঙ্গে শেষবার কথা হয়। সেই সময় ম্যাক্সন টাকা চেয়েছিল। তাঁর ভাইয়ের অভিযোগ, মাদক খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে ম্যাক্সনকে। খুনকে আত্মহত্যা প্রমাণ করতেই তাঁর গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।