Haldia dock: ন্যাপথা গেল ইন্দো-বাংলা প্রোটোকল রুটে, খুলে গেল হলদিয়া-বাংলাদেশ বিরাট ব্যবসায়িক সম্ভাবনা

রবিবার (৩ জুলাই) হলদিয়া ডক থেকে প্রথমবার ইন্দো-বাংলা প্রোটোকল রুট ধরে বাংলাদেশে রফতানি করা হল ন্যাপথা। এর ফলে, হলদিয়া বন্দর এবং বাংলাদেশের মধ্যে পেট্রোলিয়াম-সহ জীবাশ্ম তেলজাত অন্যান্য পণ্যের পরিবহণের এক বিরাট ব্যবসায়িক সম্ভাবনা উন্মুক্ত হল বলে মনে করা হচ্ছে।

Haldia dock: ন্যাপথা গেল ইন্দো-বাংলা প্রোটোকল রুটে, খুলে গেল হলদিয়া-বাংলাদেশ বিরাট ব্যবসায়িক সম্ভাবনা
যাত্রার 'ফ্ল্যাগ অফ' করলেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমল কুমার মেহরা এবং আইওসিএল-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 11:27 PM

হলদিয়া/ঢাকা: রবিবার (৩ জুলাই) হলদিয়া ডকের ১ নং তেল জেটি থেকে বাংলাদেশে ন্যাপথা রফতানি শুরু হল। ইন্দো-বাংলা প্রোটোকল রুট ধরে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাবে জীবাশ্মজাত তেলের অপরিশোধিত উপজাত নাপথা। এদিন, হলদিয়া বন্দরের ১৬ নম্বর বার্থ থেকে বাংলাদেশে ১৫০০ মেট্রিক টন ন্যাফথা রফতানি করা হল। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড বা আইওসিএল সংস্থা এই ন্যাপথা পাঠাচ্ছে বাংলাদেশের অ্যাকুয়া রিফাইনারিজ়কে। এর ফলে, হলদিয়া বন্দর এবং বাংলাদেশের মধ্যে অন্যান্য পিওএল পণ্য, অর্থাৎ পেট্রোলিয়াম-সহ জীবাশ্ম তেলজাত অন্যান্য পণ্যের পরিবহণের এক বিরাট ব্যবসায়িক সম্ভাবনা উন্মুক্ত হল বলে মনে করা হচ্ছে।

শুক্রবারই (২ জুলাই) বাংলাদেশ থেকে আসা, ‘সাংহাই-৮’ নামে একটি বার্জ হলদিয়া বন্দরে নোঙর গেঁড়েছিল। শনিবার, ওই বার্জে ন্যাপথা তোলা হয়। এদিন, হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান অমল কুমার মেহরা এবং আইওসিএল-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থ ঘোষ ইন্দো-বাংলা প্রোটোকল রুট ধরে এই যাত্রার ‘ফ্ল্যাগ অফ’ করেন।

হলদিয়া তেল শোধনাগার এবং হলদিয়া বন্দরের যৌথ উদ্যোগে এই পণ্য রফতানি শুরু হল। ব্রহ্মপুত্র হয়ে এই পথে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছানো যায়। এর আগে কখনও ইন্দো-বাংলা রুটে জ্বালানী তেল বা তেলজাত কোনও পণ্য রফতানি করা হয়নি। হলদিয়া থেকে ন্যাপথা নিয়ে বার্জটি যাবে ঢাকার কাছে নারায়ণগঞ্জে। ইন্দো বাংলাদেশ প্রোটোকল রুট ধরে মাত্র ৬ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই পণ্য নিয়ে বার্জটি বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।