UK PM Boris Johnson: ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী? আজই ভাগ্য পরীক্ষা বরিস জনসনের

Boris Johnson: যে সময় বরিস সরকারে নির্দেশে গোটা ব্রিটেন জুড়ে কড়া লকডাউন বিধি চলছে, সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর এই এই ছবি নিয়ে গোটা ব্রিটেন জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল।

UK PM Boris Johnson: ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী? আজই ভাগ্য পরীক্ষা বরিস জনসনের
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 4:28 PM

লন্ডন: ঘোরতর বিপাকে পড়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (British Prime Minister Boris Johnson)। সোমবারই বরিসের কনজারভেটিভ পার্টির (Conservative Party) ব্যাঙ্ক বেঞ্চ কমিটি ঘোষণা করেছে যে তাঁকে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। তবে সংসদে নয়, দলের অন্দেরেই আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে বরিসকে। এই কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডি জানিয়েছেন, দলের অন্দরে আইন প্রণেতাদের আস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন বরিস। নিজের লেখা বিশেষ নোটে কনজারভেটিভ দলের আইন প্রণেতাদের উদ্দেশে ব্র্যাডি লিখেছেন, “কনজারভেটিভ পার্টির সংসদীয় দলের ১৫ শতাংশের বেশি সদস্য বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের কথা বলেছেন।” ব্র্যাডি জানিয়েছেন সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধে ৬ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে এই ভোট হবে। তিনি বলেন, “আস্থা ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভোট গণনা প্রক্রিয়া শুরু হবে। এবং সঠিক সময়ে ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে।”

২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন বরিস জনসন। কিন্তু করোনা লকডাউন চলাকালীন প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল যে নিজের কার্যালয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী বরিস লকডাউন বিধি উপক্ষে করে অ্যালকোহল সহযোগে ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে ‘পার্টি’ করছেন। যে সময় বরিস সরকারে নির্দেশে গোটা ব্রিটেন জুড়ে কড়া লকডাউন বিধি চলছে, সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর এই এই ছবি নিয়ে গোটা ব্রিটেন জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। এই ‘পার্টিগেট’ (Partygate Scandal) এর জন্য বরিসের বিরুদ্ধে নেমে পড়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এমনকী তাঁর দলের অনেকই প্রধানমন্ত্রীর এই আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তারপর থেকে ‘পার্টিগেট’ নিয়ে বরিসের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছিল।

লন্ডনে বাড়তে থাকা মন্দা, জ্বালানি তেলের দামের কারণে বরিস জনসনের ওপর চাপ আরও বাড়ছিল। এমনকী ব্রিটেনে মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কনজারভেটিভ পার্টির আইন প্রণেতা বরিসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তাদের দাবি ছিল, দেশে শাসন করার মতো কর্তৃত্ব নেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর। সম্প্রতি ২০১৯ থেকে ২০২১ অবধি দেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলে আসা জেসি নরমান প্রকাশ্যেই বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট চেয়ে সরব হয়েছিলেন। নরমান জানিয়েছিলেন তাঁর পক্ষে বরিসের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, বরিসকে সরাতে কনজারভেটিভ দলের ১৮০ জন আইন প্রণেতাকে তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিতে হবে। তবে দলেরই অনেকের মনে, করছেন এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা কম।