Britsh Police: বিরোধী কন্ঠরোধ করতে চান ঋষি সুনক? পুলিশ পাচ্ছে অপরিসীম ক্ষমতা

Britsh Police to get new powers: কোনও ব্যাঘাত ঘটার আগেই বিক্ষোভ বন্ধ করতে পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ। পুলিশ বাহিনীকে এমনই ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেনের ঋষি সুনক সরকার।

Britsh Police: বিরোধী কন্ঠরোধ করতে চান ঋষি সুনক? পুলিশ পাচ্ছে অপরিসীম ক্ষমতা
পুলিশের হাতে অপরিসীম ক্ষমতা দিতে চান ঋষি সুনক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2023 | 8:28 PM

লন্ডন: কোনও ব্যাঘাত ঘটার আগেই বিক্ষোভ বন্ধ করতে পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ। পুলিশ বাহিনীকে এমনই ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেনের ঋষি সুনক সরকার। প্রতিবাদীরা আন্দোলনের যে নতুন নতুন পন্থা গ্রহণ করছে, সেগুলিকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যেই এই পরিকল্পনা করেছে ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশ সরকার বলেছে, প্রধানত পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত প্রতিবাদীদের বিভিন্ন ‘গেরিলা আন্দোলনের’ কৌশলগুলির মোকাবিলার জন্য জনশৃঙ্খলা বিলে সংশোধনী আনার কথা ঘোষণা করেছে তারা। তবে, সরকারের এই পরিকল্পনা নাগরিক স্বাধীনতার উপর আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করছেন বহু মানুষ।

ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে জনগণকে সচেতন করতে চান যাঁরা, তাঁরা ক্রমাগত প্রতিবাদের কৌশল বদলাচ্ছে। বড় শহরগুলির রাস্তার মধ্য দিয়ে মিছিল করে যানবাহনের গতি থমকে দিচ্ছে তারা। এই অবস্থায় জনশৃঙ্খলা বিলে সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিতে চলেছে শুনক সরকার। চলতি সপ্তাহেই ব্রিটিশ ‘হাউস অব লর্ডসে’ এই বিষয়ে আলোচনা হবে।

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে,জনশৃঙ্খলা বিলে যে ‘গুরুতর ব্যাঘাতের’ কথা বলা হয়েছে, তার আইনি পরিসর বৃদ্ধি করা হবে। ভিন্ন ভিন্ন দিনে, ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় একই গোষ্ঠী যদি প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করে, সেই ক্ষেত্রে পুলিশ সেই কর্মসূচিগুলিকে একই আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেখবে। অর্থাৎ, কোনও গোষ্ঠীর আন্দোলনে জনজীবন ব্যাহত হলে, তাদের পরবর্তী কর্মসূচির ক্ষেত্রে পুলিশ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আগেই ব্যবস্থা নিতে পারবে।

আর সরকারের এই পরিকল্পনাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নাগরিক স্বাধীনতার প্রবক্তারা। ব্রিটিশ সংসদের বিরোধী দল, লেবার পার্টি জানিয়েছে, সরকার আরও বেশি ক্ষমতা করায়ত্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা অত্যন্ত ভয়ের। লেবার পার্টির নেত্রী শমি চক্রবর্তী বলেছেন, “এই বিলের মূল বিষয়ই হল গুরুতর ব্যাঘাতের সংজ্ঞা। এই সংজ্ঞার উপরই নির্ভর করছে নতুন ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ এবং অনুসন্ধানের ক্ষমতা এবং নিষেধাজ্ঞা জারির ন্যায্যতা। আপনি যদি সামান্য অপরাধকেই গুরুতর বলে সংজ্ঞায়িত করেন, সেটা হবে পুলিশকে একটি ব্ল্য়াঙ্ক চেক দেওয়ার মতো। আন্দোলন শুরু আগেই ভিন্নমতাবলম্বীদের মুখ বন্ধ করে দিতে পারে পুলিশ।”