Zero COVID Policy: বিদ্রোহেই ‘মুক্তি’র স্বাদ! ‘জিরো কোভিড নীতি’ নিয়ে সুর নরম প্রশাসনের, এবার শিথিল হবে নিয়ম?
COVID-19 in China: বুধবারই ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের ভাইস প্রিমিয়ার সুন চুনলান জানান, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে এবং টিকাকরণের হারও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নতুন পরিস্থিতিতে নতুন কাজ করতে হবে।
বেজিং: বিগত কয়েক দশকে এত বড় বিদ্রোহ দেখেনি জিনপিংয়ের সরকার। করোনা সংক্রমণ রুখতে ফের একবার জিরো কোভিড নীতি গ্রহণ করতেই বিদ্রোহে গর্জে উঠেছে সে দেশের সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন শহরে দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদে আগুনও জ্বলছে। সরকারের কণ্ঠস্বর রোধের নীতির বিরোধিতা করে সাদা কাগজ হাতে নিয়েই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চিনা নাগরিকরা। আর এই বিক্ষোভ-বিদ্রোহের সামনেই এবার মাথা নত করতে বাধ্য় হচ্ছে চিনের সরকার। চিনের প্রশাসন সূত্রে খবর, একাধিক শহরেই কঠোর জিরো কোভিড নীতি শিথিল করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
চিনের জিরো কোভিড নীতি, যা নিয়ে শুরু থেকেই নানা সমালোচনা ছিল, তা ফের একবার কার্যকর করতে হয়েছে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে। বিগত দুই বছরের রেকর্ডও ভেঙে গিয়েছে এবারের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। আর তারপরই চিনের সরকারের তরফে লকডাউন, গণ করোনা পরীক্ষার মতো কঠোর নিয়মবিধি চালু করে। কোনও পরিবারে বা বাড়িতে একজন আক্রান্তের খোঁজ মিললেই প্রশাসনের তরফে সদর দরজা সিল করে দেওয়া হচ্ছিল। ন্যূনতম খাবার ও চিকিৎসার সুবিধাটুকুও পাচ্ছেন না নাগরিকরা, এমনটাই অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরেই লকডাউনে গৃহবন্দি থাকার কারণে চরম আর্থিক সঙ্কটেও পড়তে হয়েছে নাগরিকদের। এই ক্ষোভের আগুনেই ঘৃতাহুতি হয় যখন সম্প্রতিই একটি অ্যাপার্টমেন্টে আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়। ওই অ্যাপার্টমেন্টে করোনা আক্রান্ত থাকায়, দমকল বাহিনী বা উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হয়নি।
একদিকে যেখানে বিক্ষোভকারীদের দমাতে শক্তি প্রয়োগ করছে প্রশাসন, সেখানেই বেশ কিছু শহরে করোনাবিধি কিছুটা শিথিল করার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। বুধবারই ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের ভাইস প্রিমিয়ার সুন চুনলান জানান, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে এবং টিকাকরণের হারও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নতুন পরিস্থিতিতে নতুন কাজ করতে হবে। জিরো কোভি নীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, তার এই মন্তব্য কোভিডবিধি শিথিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
চিনে বর্তমানে গণ পরীক্ষা করানো হচ্ছে। একমাত্র বয়স্ক ব্যক্তি, যারা বাড়ি থেকে কাজ করেন এবং শিক্ষক ও পড়ুয়াদের নিয়মিত এই করোনা পরীক্ষা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বুধবারই এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়। তবে বেজিংয়ের বাসিন্দাদের এখনও কোনও খোলা জায়গা, যেমন ক্য়াফে, রেস্তোরাঁ বা শপিং মলে যাওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করানো করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হচ্ছে।