ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বীর নজরে দেখছে বেজিং! ‘চিন বিরোধিতা’র চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনলেন ট্রাম্প

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ট্রাম্প শেষ দিন পর্যন্ত চিন বিরোধিতা করে যাবেন, তারই প্রমাণ এই রিপোর্ট।

ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বীর নজরে দেখছে বেজিং! 'চিন বিরোধিতা'র চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনলেন ট্রাম্প
মোদী ও জিনপিং
Follow Us:
| Updated on: Nov 19, 2020 | 11:01 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: মার্কিন নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট হিসাবে আসবেন জো বাইডেন। তার আগে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল মার্কিন স্টেট বিভাগ। যেখানে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে দ্রুত গতিতে উঠে আসায় ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বীর নজরে দেখছে চিন (China)। এ ছাড়া ৭০ পাতার রিপোর্টে শুধুই চিন বিরোধিতা। কমিউনিস্ট পার্টির অত্যাচার থেকে শুরু করে করোনার দায়, একধিক অভিযোগে চিনকে বিঁধেছে হোয়াইট হাউস।

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে আমেরিকার। কোয়াডের জাপান, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও ভারত, আমেরিকার দিকেই রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান। রিপোর্টে বলা হয়েছে চিন এই সব দেশের নিরাপত্তা, স্বায়ত্তশাসন ও অর্থনৈতিক স্বার্থে আঘাত হানার চেষ্টা করছে। চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতার লড়াইয়ে টিকে থাকতে যে কোনও পদক্ষেপ করতে রাজি। চিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগও আমেরিকার।

লাদাখ সংঘাতেও রিপোর্টে ভারতের পাশে থেকেই বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। রিপোর্টে সাফ জানানো হয়েছে লাদাখে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করেছে পিওপল’স লিবারেশন আর্মি। অর্থাৎ গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘাতে প্রাণহানির দায়ও আমেরিকা পরোক্ষ ভাবে চাপিয়ে দিয়েছে শি জিনপিংয়ের ঘাড়েই। তাইওয়ানকে রক্তচক্ষুর আড়ালে রাখতে চাইছে চিন। বারবার তাইওয়ানকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ দাবি করে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাইপেইর যোগসূত্র বন্ধ রাখতে চেয়েছে বেজিং। রিপোর্টে এই বিষয়েও চিনকে একহাত নিয়েছে আমেরিকা।

আরও পড়ুন: অন্তর্দ্বন্দ্বে চিন! বেজিংয়ের সঙ্গে উত্তেজনার আবহেই তাইওয়ানের আকাশ থেকে হারিয়ে গেল যুদ্ধবিমান

এখানেই শেষ নয়। বিশ্বব্যাপী মারণ ভাইরাসের ছড়ানোর দায়ও রিপোর্টে চিনের উপরই চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। করোনাভাইরাস শুরুর প্রথম দিন থেকেই চিনকে বিঁধেছে আমেরিকা। সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে চিন, হোয়াইট হাউসের আধিকারিকরা বারবার এই দাবি করেছেন। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা ভাইরাসকে ‘চিনা ভাইরাস’ বলেও একাধিক বার কটাক্ষ করেছেন। ট্রাম্প ৪ বছর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সব সময় চাপে রেখেছেন চিনকে। তাঁর আমলেই চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাত চরমে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ট্রাম্প শেষ দিন পর্যন্ত চিন বিরোধিতা করে যাবেন, তারই প্রমাণ এই রিপোর্ট। ট্রাম্প আমলের অন্যতম বড় সিদ্ধান্ত ছিল ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসা। ইরান হামলার নেপথ্যেও তিনিই। কয়েক দিন আগে ফের ইরানে হামলা করতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি।