Pak Army Chief: পাক সেনাপ্রধানকে অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে নাক না গলানোর পরামর্শ ইমরান খানের দলের
Imran Khan Party: সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে ইমরানের দল।
ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর প্রধান হয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অসীম মুনির। তিনি পাক সেনার সর্বোচ্চ পদে বসার পর থেকেই সে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতি্ক দলের থেকে এসেছে প্রতিক্রিয়া। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইমরানের দলের আশা, দেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করবেন সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান।
সেনাবাহিনীর প্রধান হিসাবে মুনিরের পদে বসার পরই একটি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “আমরা আশা করছি, নতুন নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে পাকিস্তান সেনা নিজেদের সাংবিধানিক কর্তব্য পালন করবে। দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের পক্ষে অবস্থান নেবে।” এর পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতির বিষয়ে সেনা নাক গলাবে না বলে আশা করেছে ইমরানের দল। সেনার রাজনীতি থেকে দূরে থাকা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষেও মঙ্গল বলে মত পিটিআই-এর। এর পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে ইমরানের দল।
ইমরান খানের দল সে দেশের সাধারণ নির্বাচনের পক্ষেও সওয়াল করেছেন। তেহরিক-ই-ইনসাফের তরফে বলা হয়েছে, “মুক্ত এবং স্বচ্ছ নির্বাচন দেশের চলতি অবস্থার একমাত্র সমাধান। আমরা মনে করছি প্রত্যেক সংস্থা এবং ব্যক্তি দেশের কষ্ট অনুভব করতে পারছে। গণতন্ত্রের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে সকলের যোগদান একান্ত কাম্য।” ইমরানের দলের আরও দাবি, পাকিস্তানে মানবাধিকার ভয়ঙ্কর ভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে গত কয়েক মাসে। এ নিয়ে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানে মানবাধিকার ভয়ঙ্কর ভাবে লঙ্ঘিত। সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যম অত্যাচার ও হেনস্থার শিকার হচ্ছে। আর্শাদ শরিফের মতো দেশের প্রথম সারির সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। ভাড়া করা সরকার দেশের বৃহত্তম দলের নেতাদের কণ্ঠরোধ করছে। রাজনৈতিকক অস্থিরতার জেরে অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”