Imran Khan: পাকিস্তানে উপনির্বাচন, ৩৩টি আসনেই PTI প্রার্থী ইমরান খান

আগামী মার্চ মাসে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের যে ৩৩টি আসনে উপ-নির্বাচন হবে। ৩৩টি আসনে নিজেই প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ইমরান খান।

Imran Khan: পাকিস্তানে উপনির্বাচন, ৩৩টি আসনেই PTI প্রার্থী ইমরান খান
৩৩টি আসনে একজনই প্রার্থী, ইমরান খান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2023 | 4:48 PM

ইসলামাবাদ: রেকর্ড করতে চলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগামী মার্চ মাসে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের যে ৩৩টি আসনে উপ-নির্বাচন হবে, তার সবকটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। আর ৩৩টি আসনেই প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ ইমরান! এমনটাই জানিয়েছেন, তাঁর দলের অন্যতম সিনিয়র নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশি। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) তিনি বলেন, “আমরা উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সব আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ইমরান খান।” শুক্রবারই পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন আগামী ১৬ মার্চ জাতীয় পরিষদের ৩৩টি আসনের উপনির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছিল। পিটিআই সাংসদরা গণ ইস্তফা দেওয়াতে এই আসনগুলি ফাঁকা হয়েছিল।

২০২২ সালের এপ্রিলে, ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সেই সময়ের বিরোধী দলগুলি একযোগে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ায়, ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ইমরান খান। তারপরই, ওই ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় পরিষদ থেকে গণহারে ইস্তফা দিয়েছিলেন পিটিআই সাংসদরা। কিন্তু, পাক জাতীয় পরিষদের স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ মাত্র ১১ জনের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, বাকি সাংসদরা স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিচ্ছেন কি না, তা তিনি ব্যক্তিগতভাবে ডেকে যাচাই করবেন।

এই ভাবে আটমাস তিনি পিটিআই সাংসদদের ইস্তফাদান আটকে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত চলতি মাসের শুরুতে পিটিআই দলের আরও ৩৫ জনের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন আশরাফ। সব মিলিয়ে মোট ৮০ জন পিটিআই সাংসদ জাতীয় পরিষদ থেক ইস্তফা দিয়েছেন। পিটিআই নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশি জানিয়েছেন, এর আগে গত বছরের ১৭ জুলাই যে উপনির্বাচন হয়েছিল, সেখানে মানুষ ইমরান খানের দলকেই সমর্থন করেছিল। তাঁদের আশা আগামী ১৭ মার্চের উপনির্বাচনেও মানুষ ইমরানের পক্ষেই ভোট দেবেন।

এদিকে, এদিনই জানা গিয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান খানের হেলিকপ্টার চড়ার জন্য পাক কোষাগার থেকে ১ বিলিয়ন অর্থাৎ, ১০০ কোটি পাকিস্তানি টাকা খরচ হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনি হেলিকপ্টারেই সফর করতেন। পাকিস্তানি সেনেটে এই খরচের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফেই ভিভিআইপি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল।