UN Report: বিশ্বে প্রতি ১১ মিনিটে একজন মহিলা খুন হন তাঁর লিভ-ইন পার্টনার বা পরিবারের সদস্যের হাতে: রাষ্ট্রসঙ্ঘ
United Nations: মহিলাদের উপর হিংসার ঘটনা বেড়ে চলা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধানের দাবি, করোনা অতিমারি পরবর্তী অবস্থায় মানুষ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর তারই পরিণাম হিসাবে বাড়ির পুরুষদের রাগের শিকার হন মহিলারা।
নিউ ইয়র্ক: বর্তমান যুগেও নিরাপদ নন মহিলারা! বিশ্বে প্রতি ১১ মিনিটে একজন মহিলার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার নারীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক হিংসা দূরীকরণ দিবসের প্রাক্কালে এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক অ্যান্তোনিও গুত্তেরেস। উদ্বেগের সঙ্গে তিনি বলেন, “মহিলাদের উপর হিংসার ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। প্রতি ১১ মিনিটে একজন মহিলা বা বালিকা খুন হন তাঁর লিভ-ইন পার্টনার বা পরিবারের সদস্যের হাতে।”
বর্তমানে দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মহিলাদের উপর হিংসার ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদকের মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই ধরনের ন্যক্করজনক ঘটনা রুখতে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান নারী সুরক্ষা সংগঠনের জন্য বরাদ্দ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত করার বার্তা দিয়েছেন এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এই বিষয়ে পদক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছেন।
করোনা-পরবর্তী সময়ে মহিলাদের উপর হিংসার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রধানের। তাঁর মতে, “করোনা অতিমারি পরবর্তী অবস্থায় মানুষ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর তারই পরিণাম হিসাবে বাড়ির পুরুষদের রাগের শিকার হন মহিলারা। শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার শিকার হন। এছাড়া অনলাইন হিংসা, ঘৃণ্য মন্তব্য, যৌন হেনস্তা, ছবির অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন মহিলারা।”
নানাভাবে হেনস্তার শিকার হয়ে মহিলারা বেঁচে থাকার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান। মহিলাদের স্বাধীনতা অস্বীকার করা হচ্ছে জানিয়ে বর্তমান বিশ্বে মহিলাদের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সাম্যতা ফিরে আনা জরুরি বলেও দাবি জানিয়েছেন অ্যান্তোনিও গুত্তেরেস। এর জন্য প্রতিটি দেশের সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে বলেও দাবি জানান তিনি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রতি ১০ নারীর মধ্যে ১৫ বছর থেকে ৪৯ বছর বয়সি একজনের বেশি কিশোরী বা মহিলা তার সঙ্গীর যৌন অথবা শারীরিক হেনস্তার শিকার হচ্ছে। এছাড়া মহামারী শুরুর সময় থেকে প্রতি ৪ মহিলার মধ্যে ১ জন দাম্পত্য অশান্তির শিকার হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ২৫ নভেম্বর নারীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক হিংসা দূরীকরণ দিবস হিসাবে পালিত হয়। এবছর এই দিবসের থিম হল, ‘ইউনাইট: মহিলা এবং কিশোরীদের বিরুদ্ধে হিংসা বন্ধ করার সক্রিয়তা।’