India Exporting Fuel to Sri Lanka: ডুবন্ত লঙ্কাকে বাঁচাতে ভরসা ক্রেডিট লাইনই, ৭৬ হাজার টন জ্বালানি পাঠাল ভারত
বিগত দুই বছর ধরে পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ায় এবং চিন থেকে নেওয়া ঋণের বোঝায় ডুবে বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় চরম আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
নয়া দিল্লি: বিপদের মুহূর্তে বন্ধুর মতো প্রতিবেশী দেশের পাশে দাঁড়াচ্ছে ভারত। শ্রীলঙ্কায় যে চরম আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে ফের একবার জ্বালানি দিয়ে সাহায্য করছে ভারত। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬ হাজার টন জ্বালানি সরবরাহ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। এই নিয়ে মোট ২ লক্ষ ৭০ হাজার টন জ্বালানি পাঠানো হল শ্রীলঙ্কায়। বিগত দুই বছর ধরে পর্যটন শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ায় এবং চিন থেকে নেওয়া ঋণের বোঝায় ডুবে বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় চরম আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাদের কাছে বিদেশী মুদ্রাও প্রায় ফুরিয়ে আসায়, ভারত সরকার ক্রেডিট লাইনেই শ্রীলঙ্কাকে জ্বালানি ও খাদ্যশস্য দিয়ে সাহায্য করছে।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, শ্রীলঙ্কার জ্বালানি ভাণ্ডার শূন্য হয়ে যাওয়ায়, কিছুটা হলেও যাতে চাহিদা মেটানো যায় এবং অর্থনীতিতে স্থিতাবস্থা আসে, তার জন্যই এই সাহায্য করা হচ্ছে। এর আগেও কেন্দ্রের তরফে ৪০ হাজার লিটার ডিজেল পাঠানো হয়েছিল। ১০ কোটি ক্রেডিট ডলারে ওই ডিজেল দেওয়া হয়েছিল। এই দফায় ৩৬ হাজার মেট্রিক টন পেট্রোল ও ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাঠানো হয়েছে।
#Indian credit line for fuel at work!!! One consignment each of 36,000 MT petrol and 40,000 MT diesel was delivered to #SriLanka in the last 24 hours. Total supply of various types of fuel under Indian assistance now stands at more than 270,000 MT. pic.twitter.com/QMO8fftnXA
— India in Sri Lanka (@IndiainSL) April 6, 2022
শ্রীলঙ্কায় যে আর্থিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তার জেরে গোটা দেশেই বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের ইস্তফার দাবি করেছেন। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার ২৬ জন সদস্যই ইস্তফা দিয়েছেন। নতুন করে যে চারজন মন্ত্রীকে দেশ সামলানোর জন্য নিয়োগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট, তাদের মধ্যেও অর্থমন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এই প্রথম শ্রীলঙ্কা চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির একটি বড় অংশই যেহেতু পর্যটন নির্ভর, বিগত দুই বছরে করোনা সংক্রমণের কারণে তা থমকে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, চিনের থেকেও যে বিপুল ঋণ নিয়েছে শ্রীলঙ্কা, তা আগামী দুই বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ পরিশোধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরফলে আরও আর্থিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।