পাক জুম মিটিয়ে বেজে উঠল হনুমান-শ্রীরামের গান, বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হল বৈঠক
মিটিংয়ের বিষয়বস্তু ছিল "ভারতের কাশ্মীর দখলের ৭২ বছরপূর্তি"। প্রথমে সবকিছু ঠিকভাবে চললেও আচমকাই ১৬মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের মাথায় হনুমানের গান বাজতে শুরু করে।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানি কূটনীতিবিদরা জুম মিটিংয়ে (Zoom Meeting) কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে গভীর আলোচনায় ব্যস্ত, এমন সময় বেজে উঠল “এক হি নাড়া, এক হি নাম, জয় শ্রী রাম জয় শ্রী রাম”! অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনটাই ঘটেছে পাকিস্তানের একটি জুম মিটিংয়ে। রাতারাতি ভাইরাল হয় সেই মজাদার ভিডিয়োও।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের একদল কূটনীতিবিদ ও কিছু স্বঘোষিত মানবাধিকার কর্মীরা মিলে একটি অনলাইন মিটিংয়ের আয়োজন করে। মিটিংয়ের বিষয়বস্তু ছিল “ভারতের কাশ্মীর দখলের ৭২ বছরপূর্তি”। পাকিস্তানি ছাড়াও কিছু বিদেশি ইসলাম সমর্থকরাও জুম মিটিংয়ে অংশ নেন। বৈঠকে ভারতের সমালোচনা করে কাশ্মীর আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
প্রথমে সবকিছু ঠিকভাবে চললেও আচমকাই ১৬মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের মাথায় হনুমানের গান বাজতে শুরু করে। প্রথম কয়েক মিনিট সকলেই হকচকিয়ে যান, পাকিস্তানের বৈঠকে ভারতীয় দেবতার গান বাজছে, এই বিষয়টি হজম করার আগেই বন্ধ হয়ে যায় গান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মালিক নাদিম আবিদ ভারতীয়দের উপস্থিতি বুঝতে পেরে বলেন, “আমি জানতাম এরা অনুষ্ঠান পণ্ড করতে হাজির হবে”।
পরের আধঘণ্টা কোনও বাধা ছাড়াই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করেন পাকিস্তানি কূটনীতিবিদরা। ৪৭ মিনিটে ফের উদয় হন সেই ভারতীয় ইউজার, এবার তিনি শ্রীরামের “এক হি নাড়া, এক হি নাম, জয় শ্রী রাম” গানটি চালান। টানা দুই মিনিট ধরে চলে সেই গান, নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকেন বৈঠকে অংশগ্রহণকারী পাকিস্তানিরা। গান শেষ হলেই তারা ক্ষোভপ্রকাশ করে ভারতের বিরুদ্ধে তাদের মিটিং পণ্ড করার ও কাশ্মীরে নৃংশস অত্যাচার চাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ আনেন।
ভারতীয় সমর্থকদের হিন্দুত্ববাদী গান চালানো থেকে আটকাতে না পেরে ৫০ মিনিটে এক বোরখা পড়া মহিলা লাইভ ভিডিয়োয় এসে বৈঠক বন্ধ করার কথা বলেন। ২৭ অক্টোবর ভারতের কাশ্মীর দখলের দিনটি স্মরণ করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানিদের তরফ থেকে এই জুম মিটিং-টি আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সত্য় ঘটনা হল সেই দিন অর্থাৎ ১৯৪৮ সালের ২৭ অক্টোবর ভারতীয় সেনাবাহিনীর শিখ রেজিমেন্ট শ্রীনগরে পৌঁছয় পাসতুন অনুপ্রবেশকারীদের জম্মু-কাশ্মীর দখল রুখতে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে সক্ষম হয়। ভারতে এই দিনটি “পদাতিক বাহিনী দিবস” (Infantry Day)হিসাবে পালিত হয়।