Indian Student: আড়াই হাজার বছরের পুরোনো সংস্কৃতের জটিল সমস্যার সমাধান সূত্র মিলল ভারতীয় ছাত্রের হাতে

পাণিনী ব্যাকরণকে 'ভাষার মেশিন' হিসাবে বর্ণনা করেছেন অতুল ঋষি রাজপ্রপাট। ছাত্রের এই সাফল্যে অভিভূত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ভার্জিয়ানি।

Indian Student: আড়াই হাজার বছরের পুরোনো সংস্কৃতের জটিল সমস্যার সমাধান সূত্র মিলল ভারতীয় ছাত্রের হাতে
অতুল ঋষি রাজপ্রপাট। ছবি সৌজন্য: টুইটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 17, 2022 | 2:24 AM

নিউ ইয়র্ক: আড়াই হাজার বছর ধরে সংস্কৃতের জটিল সমস্যার সমাধানের চেষ্টা হচ্ছিল। বহু সংস্কৃত পণ্ডিত যে সমস্যার সমাধান-সূত্র এতদিন বের করতে পারেননি, সেই সুপ্রাচীন জটিল সমস্যার সমাধান করলেন ভারতীয় ছাত্র। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় গবেষক ছাত্র ২৭ বছর বয়সী অতুল ঋষি রাজপ্রপাটের হাতেই সংস্কৃতের জটিল সমস্যার জট খুলল।

বৃহস্পতিবারই অতুল ঋষি রাজপ্রপাটের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেই গবেষণাপত্রেই সংস্কৃতের জটিল সমস্যার সমাধানসূত্রটি তুলে ধরা হয়েছে। এটি সংস্কৃত ব্যাকরণের একটি ‘বৈপ্লবিক সমাধান’ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সংস্কৃতের সুপ্রাচীন ব্যকরণ, পাণিনী ব্যকরণেই এই সমস্যার জটিল সমাধান ছিল বলে জানিয়েছেন ঋষি রাজপ্রপাট।

সংস্কৃত ব্যকরণের আড়াই হাজার বছরের পুরোনো সমস্যার জট খুলতেই এবার সেটি কম্পিউটারেও তুলে ধরার ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে। পাণিনী ব্যকরণের উপর নির্ভর করে এই সমাধান সূত্র এবার কম্পিউটারের প্রোগ্রামের মধ্য ধরা যাবে। তবে আড়াই হাজার বছর পুরোনো এই জটিল সমস্যার সমাধান করা ঋষি রাজাপ্রোপাটের কাছেও ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁর কথায়, “নয় মাস ধরে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। তারপর একসময় হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। এক মাসের জন্য বই সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিই। সাইকেল চালিয়ে, রান্না করে, সাঁতার কেটে, প্রার্থনা-ধ্যান করে ছুটি কাটাচ্ছিলাম। তারপর কাজে ফিরে পাণিনির ব্যাকরণের পাতা ওল্টাতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সমাধান সূত্র।” এটি একটি বড় জটিল সমস্যার সমাধান হলেও এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ঋষি।

পাণিনীর ব্যাকরণ এক অমূল্য সম্পদ বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ছাত্র। তিনি পাণিনী ব্যাকরণকে ‘ভাষার মেশিন’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ছাত্রের এই সাফল্যে অভিভূত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ভার্জিয়ানি। তিনি বলেন, “আমার ছাত্র ঋষি এই সমস্যার সমাধান করেছেন। যা বহু শতাব্দী ধরে বহু পণ্ডিতদের বিভ্রান্ত করেছে। এই আবিষ্কারটি এমন একটা সময়ে হয়েছে, যখন সংস্কৃত ভাষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এটি সংস্কৃতের অধ্যয়নে বিপ্লব আনবে।” উল্লেখ্য, বর্তমানে কেবল ভারতে ২৫ হাজার মানুষ সংস্কৃত ভাষায় কথা বলেন।