Iran Protest: গর্জে উঠল ইরানের পড়ুয়ারাও, প্য়ারামিলিটারির সদস্য মঞ্চে উঠতেই স্লোগান, হাওয়ায় উড়ল হিজাব
Iran Protest: ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, তেহরানের একটি স্কুলের ছাত্রীরা তাদের হিজাব খুলে ফেলছে এবং দেশের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির মৃত্যু কামনা করে স্লোগান দিচ্ছে।
তেহরান: যত দিন যাচ্ছে, জনতার মনে ক্ষোভ আরও বাড়ছে। ঠিকভাবে হিজাব না পরায়, মাহসা আমিনি নামক এক যুবতীর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পরই ইরানে ছড়িয়েছে বিক্ষোভের আগুন। পুলিশ-নিরাপত্তা রক্ষীরা লাঠি, গুলি চালিয়ে সেই বিক্ষোভ দমানোর চেষ্টা করলেও, কোথাওই নিভছে না ক্ষোভের আঁচ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। চুল কেটে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন ইরানের মহিলারা। এবার দেশের প্যারামিলিটারি বাহিনীর বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে দেখা গেল ইরানের স্কুল পড়ুয়াদের। বুধবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো। দেখা যায়, ইরানের প্যারামিলিটারি বাসিজ বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে, কার্যত ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় ওই সেনাবাহিনীর ওই সদস্যকে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, তেহরানের একটি স্কুলের ছাত্রীরা তাদের হিজাব খুলে ফেলছে এবং দেশের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির মৃত্যু কামনা করে স্লোগান দিচ্ছে। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা না গেলেও, মনে করা হচ্ছে গত মঙ্গলবারই তেহরানের সিরাজের একটি স্কুলে ওই ঘটনাটি ঘটে। দেশের প্য়ারামিলিটারি বাহিনী বাসিজের এক সদস্যকে স্কুলে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। তিনি মঞ্চে উঠতেই প্রায় ৫০ জন ছাত্রী তাঁকে ঘিরে ধরেন এবং হিজাব খুলে ফেলেন। ইরানের সুপ্রিম নেতার মৃত্যুকামনা করে স্লোগান দেওয়া হয়। বাসিজের ওই সদস্যকেও স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেন বিক্ষোভকারী ছাত্রীরা।
School girls are increasingly vocal against the regime during #IranProtests. This clip shows when a school brought a member of regime’s IRGC paramilitary Basij to speak to the girls, they responded with chants of “Basij go get lost!”#MahsaAmini #مهسا_امینی pic.twitter.com/NxxgQXLf4c
— Alireza Jafarzadeh (@A_Jafarzadeh) October 5, 2022
এদিকে, এই ঘটনার পরই ইরান কর্তৃপক্ষের তরফে বিভিন্ন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয়েছে। যদিও কী কারণে তাদের পাঠানো হচ্ছে, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি কর্তৃপক্ষের তরফে। তবে অনুমান, বিক্ষোভের কারণেই সেনা পাঠানো হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।