Iran Hijab Row : ‘নীতি পুলিশে’র চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ইরানের রাস্তায় হিজাব ওড়ালেন মহিলারা

Iran Hijab Row : ইরানের রাস্তায় হিজাব ওড়ালেন মহিলারা। হিজাব না পরায় ২২ বছরের যুবতীর নীতি পুলিশের হাতে গ্রেফতারির পর মৃত্যুতে প্রতিবাদ মহিলাদের।

Iran Hijab Row : 'নীতি পুলিশে'র চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ইরানের রাস্তায় হিজাব ওড়ালেন মহিলারা
ছবি সৌজন্যে : টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2022 | 5:58 PM

তেহরান : ইরানে মহিলাদের জন্য কঠোর পোশাক বিধি রয়েছে। সেখানে মহিলাদের মধ্যে হিজাব পরার কড়াকড়িও রয়েছে। সম্প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি মহিলাদের পোশাক বিধি নিয়ে সেদেশে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশে মহিলাদের সবসময় হিজাব পরার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় কঠোর সাজা দেওয়ার নিদানও দিয়েছেন তিনি। এদিকে প্রেসিডেন্টে নির্দেশ মানেননি এক ২২ বছরের যুবতী মাহসা আমিনি। তার জেরে কঠোর শাস্তিও পেতে হল তাঁকে। হিজাব না পরায় তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার পশ্চিম ইরানের রাস্তায় হিজাব খুলে ফেলে প্রতিবাদে সামিল হন মহিলারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিক্ষোভ প্রতিবাদ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। একনায়কের মৃত্য়ুর দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল থেকে উঠেছে স্লোগানও।

প্রেসিডেন্টের রচনা করা রুল বুক মেনে চলেননি ২২ বছর বয়সী যুবতী। আর তাতেই কঠোর সাজা পেতে হল তাঁকে। হিজাব না পরার জন্য শেষ হয়ে গেল প্রাণটাই। জানা গিয়েছে, আমিনি নিজের পরিবার পরিজনের সঙ্গে কুর্দিস্তানের পশ্চিম প্রদেশ থেকে ইরানের রাজধানী তেহরানে যাচ্ছিলেন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্য। তবে এই তাঁর শেষ যাওয়া হবে কেউ কল্পনা করতে পারেননি সেই সময়। কিন্তু পোশাক বিধি লঙ্ঘন করার জন্য নীতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সময় আমিনিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর গ্রেফতারির কিছু ঘণ্টা পরেই পুলিশের তরফে আমিনার পরিবারকে জানানো হয়, আমিনিকে কাসরা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই মারা যান আমিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়, আমিনির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয়েছে। যদিও পুলিশের এই দাবি নাকচ করেছে যুবতীর পরিবার। তাঁরা জানিয়েছেন, গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন আমিনি।

আমিনির মৃত্য়ুর পরই পশ্চিম ইরানের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহিলারা। আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে তাঁর নিজের শহর সাঘেজের মহিলারাই হিজাব খুলে ফেলেন। যেখানে হিজাব খুলে ফেলা গুরুতর অপরাধ, সেখানে মহিলারা সেই হিজাব খুলে ফেলেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। প্রতিবাদ মিছিল থেকে স্লোগান উঠেছে ‘একনায়কের মৃত্যু হোক’। এই বিক্ষোভের কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, পুলিশরা বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে। মিছিল থেকে গুলির শব্দও শোনা গিয়েছে। এই ঘটনায় ইরানের সরকার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও পুলিশের তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে তাঁদের বক্তব্যকেই সত্যি করে দাবি করা হয়েছে।