Italian Prime Minister resigns: পদত্যাগ করলেন ইটালির প্রধানমন্ত্রীও, ইউরোপে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা

Italian Prime Minister Mario Draghi resigns: পদত্যাগ করলেন ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। একের পর এক শাসক জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক দল তাঁর প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করার পর, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাষ্ট্রপতি সের্জিও মাতারেলার কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দেন মারিও দ্রাঘি।

Italian Prime Minister resigns: পদত্যাগ করলেন ইটালির প্রধানমন্ত্রীও, ইউরোপে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা
ব্রিটেনে বরিস জনসনের পর ইস্তফা দিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি
Follow Us:
| Updated on: Jul 21, 2022 | 4:44 PM

রোম: পদত্যাগ করলেন ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। একের পর এক শাসক জোটের গুরুত্বপূর্ণ শরিক দল তাঁর প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করার পর, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাষ্ট্রপতি সের্জিও মাতারেলার কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দেন মারিও দ্রাঘি। বৃহস্পতিবার, ইতালিয় রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি সের্জিও মাতারেলা প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন। পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনি দ্রাঘির প্রশাসনকে ভারপ্রাপ্ত সরকার হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। সম্প্রতি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বরিস জনসন। সেই দেশে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের কাজ চলছে। দ্রাঘির ইস্তফায়, চলমান অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে নিঃসন্দেহে ইউরোপে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও বাড়ল।

গত তিন বছর ধরে প্রথমে করোনভাইরাস মহামারি এবং তারপর দুর্বল অর্থনীতির মোকাবিলা করছে ইটালি। এবার মারিও দ্রাঘির পদত্যাগে দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাও তৈরি হল। রাষ্ট্রপতির মাতারেলা আইনসভা ভেঙে দেবেন নাকি আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানাবেন, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি। নিয়ম মতো ২০২৩ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।আগাম ভোট হলে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে নির্বাচন হতে পারে।

বুধবার, সেনেটে আস্থাভোটে জয় পেয়েছিলেন দ্রাঘি। কিন্তু তাঁর জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রধান তিন দলই এই ভোট বয়কট করেছিল। ফলে, তাঁর সরকারের টিকে থাকার আর কোনও সুযোগ ছিল না। ইস্তফা দেওয়ার আগে তিনি জোট শরিকদের তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন। দেরি হয়ে যাওয়ার আগে, একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি জোট শরিকরা। ফলে, ১৭ মাসের মধ্যেই ডান, বাম এবং পপুলিস্টদের অস্বস্তিকর জোট সরকার ভেঙে পড়ল। এক সময় ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রধান ছিলেন মারিও দ্রাঘি। ইউরোর পতন রোধ করে, তার মূল্য পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি ‘সুপার মারিও’ নামে পরিচিত ছিলেন। গত বছর দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে তাঁর উপরই ভরসা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মারাতেলা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ফান্ডকে তিনিই সঠিকভাবে ব্যবহার করে ইটালিকে দিশা দেখাতে পারবেন বলে মনে করা হয়েছিল।

কিন্তু, পপুলিস্ট দল ফাইভস্টার পার্টি গত কয়েক মাস ধরেই মৌলিক আয় এবং ন্যূনতম বেতনের অগ্রাধিকারের মতো কয়েকটি বিষয় উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে দ্রাঘি প্রশাসনের বিরোধিতা করা শুরু করেছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারাই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল। গত সপ্তাহে, দ্রাঘির আনা একটি বিলের উপর আস্থা ভোট তারা এড়িয়ে গিয়েছিল। সেই সময় দ্রাঘি প্রথমবার পদত্যাগ করার প্রস্তাব দেন রাষ্ট্রপতির কাছে। তবে, রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ করেননি। বরং ইটালির জনতা তাঁকেই এই পদে দেখতে চায় বলে দ্রাঘিকে প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। এবার আর সেই পথে হাঁটেননি রাষ্ট্রপতি। জনমত সমীক্ষাগুলি বলছে, এখনই ভোট হলে ইটালির মধ্য-বামপন্থী দল, ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং ডানপন্থী দল ব্রাদার্স অব ইটালির মধ্য়ে কঠোর লড়াই হবে। প্রসঙ্গত দুটি দলই দ্রাঘির জোট সরকারের বিরোধিতা করেছে।